ম্যাচ জেতাই মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সেই ২০১৪ সালে প্রথমবার মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশকাপে সুযোগ পায় বাংলাদেশ। প্রথমবারেই শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের সন্তুষ্টি নিয়ে দেশে ফিরেছিল টাইগ্রেসরা। এরপর আরও চারটি আসরে খেললেও প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এবার তাই ম্যাচ জিতাই বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম লক্ষ্য হবে জানালেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অংশ নিতে আগামী বৃহস্পতিবার দেশ ছাড়বে বাংলাদেশের মেয়েরা। যদিও আসরটি এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে সরে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। যাওয়ার আগে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হয় আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানান অধিনায়ক নিগার, 'প্রথমত ম্যাচ জিততে চেষ্টা করব। ২০১৪ ছাড়া একটা বিশ্বকাপেও আমরা একটি ম্যাচও জিততে পারিনি। ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে ভালো ক্রিকেট খেলার কোনও মানে নাই, যদি আপনি ম্যাচ জিততে না পারেন। প্রথমত চাই ম্যাচ জিততে।'

তবে ম্যাচ জিতে যদি মোমেন্টাম পেয়ে যান তখন মেয়েদের নতুন লক্ষ্য সেট করবেন মেয়েরা। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে সেমি-ফাইনালে যাওয়াও সম্ভব বলে মনে করেন অধিনায়ক, 'দ্বিতীয়ত যখন আমরা ফ্লো পাব, আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে দল... অবশ্যই.. সেমিফাইনাল কে না খেলতে চায়।'

'আমাদের লক্ষ্য থাকবে সেভাবেই। আমরা জানি যে আমাদের ক্রিকেটটা যদি এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে বিশ্বকাপের চেয়ে বড় মঞ্চ আর হতে পারে না। ওখানে ভালো পারফরম্যান্স করলে শুধু আমরা না, যারা বাংলাদেশে ক্রিকেট খেলে, বাকি যে মেয়েরা... যারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলতে চায় তাদের জন্য আমরা ভালো কিছু করতে চাই,' যোগ করেন নিগার।

এদিকে মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৯৯টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন নিগার। সব ঠিক থাকলে বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ দিয়ে সংখ্যাটা একশতে পূরণ করার সুযোগ থাকছে তার সামনে। জয় দিয়েই নিজের শততম ম্যাচ উদযাপন করতে চান নিগার।

অধিনায়কের ভাষায়, 'প্রথম ম্যাচ স্পেশাল... তো প্রথম ম্যাচ জিততে চাই। আমার জন্য এটা সব থেকে স্পেশাল। আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য এটা অনেক বড় একটা অর্জন হবে। একজন প্লেয়ার হিসেবে একশতম ম্যাচ, আমি এখনও জানি না খেলতে পারব কি না। যদি খেলি, প্রথম লক্ষ্য এটাই থাকবে যেন জিততে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English

Are battery-run rickshaws Dhaka’s newest traffic menace? Hear what city dwellers think!

Dhaka's battery-run rickshaws spark debate over efficiency versus safety. Critics cite accidents, recklessness, and safety concerns, while supporters highlight cost-effectiveness. A High Court ban fuels tensions, affecting livelihoods and intensifying calls for regulation over elimination.

2h ago