ভারতে বাংলাদেশের যেমন সম্ভাবনা দেখেন জাকের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টি-টোয়েন্টিতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত জাকের আলী অনিক প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন টেস্ট দলে। আছেন আসন্ন ভারত সফরে জন্য ঘোষিত বাংলাদেশের স্কোয়াডে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাফল্যে পাওয়া আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ভারতের মাটিতেও বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

পাকিস্তানের মাটিতে কিছুদিন আগে টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দেয় টাইগাররা। নাজমুল হোসেন শান্তর দল ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে স্বাগতিকদের। ওই প্রসঙ্গ টেনে শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে গণমাধ্যমকে জাকের বলেছেন, 'যেহেতু সবশেষ সিরিজটা খুব ভালো গেছে, সেই আত্মবিশ্বাস তো অবশ্যই থাকবে। আমার মনে হয়, এই বছর আমাদের চেষ্টা থাকবে, যেটা আমরা দল হিসেবে আগে কখনও করতে পারি, সেটা করার চেষ্টা থাকবে।'

পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা অসাধারণ কিছু ইনিংস খেলেন। এর আগে এই সংস্করণে বেশ ভুগছিলেন তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত মার্চ-এপ্রিলে অনুষ্ঠিত সিরিজের চার ইনিংসের তিনটিতেই দুইশর নিচে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। জাকেরের মতে, ব্যাটাররা যদি ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন, তাহলে ছন্দে থাকা বোলারদের ভালো করার রসদ মিলবে, 'চ্যালেঞ্জ তো সব দিক দিয়ে থাকবে। তাদের ব্যাটিং লাইনআপও তো অনেক ভালো। আমরা যদি ব্যাটিং বিভাগ হিসেবে ভালো করতে পারি... সবশেষ দুইটা টেস্ট যদি দেখেন, আমরা সব কিছুতেই ভালো করেছি। বিশেষ করে, ব্যাটিংটা কিন্তু ভালো ছিল। আমরা সংগ্রাম করি ব্যাটিং নিয়েই। ব্যাটিং যখন খারাপ হয়, আমরা হেরে যাই। বোলাররা বেশিরভাগ সময় সমর্থন দেয়। আমরা ব্যাটিংটা যদি ভালো করতে পারি, আমাদের জন্য খুবই ভালো হবে।'

২৬ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকেরের প্রত্যাশা, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের টেস্ট সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, 'আমি কিছু দিন আগেও বললাম, আমরা যে দুইটা ম্যাচ জিতলাম, আধিপত্য দেখিয়ে জিতে আসা, এটা তো অবশ্যই সংস্কৃতি বদলানোর একটা আভাস।'

দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টির দুটি সিরিজ খেলতে আগামী রোববার ভারত সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে শুরু হবে প্রথম টেস্ট। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে ২৭ সেপ্টেম্বর। গোয়ালিয়র, দিল্লি ও হায়দরাবাদে টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে ৬, ৯ ও ১২ অক্টোবর।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago