লিটন বললেন, ‘এখন যদি দায়িত্ব না নিই, তাহলে আর কবে!’

ছবি: এএফপি

গত কয়েক বছর ধরেই টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ সফল লিটন দাস। হয়ে উঠেছেন ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম স্তম্ভ। সবশেষ পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়েও আলো ছড়ান তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে নয় বছরের বেশি কাটিয়ে ফেলা লিটন নিজের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে বলেছেন, এখনই দায়িত্ব নেওয়ার সময় তার।

২০২০ সালের শুরু থেকে বিবেচনা করলে, টেস্ট স্বীকৃত উইকেটরক্ষকদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (১৫৫৯) ও সর্বোচ্চ গড় (৪৮.৭১) লিটনের। এই সময়ে খেলা ২৫ টেস্টে চারটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ১৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অনবদ্য সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জেতেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ২২৮ বল মোকাবিলায় ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথম টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ফিফটি।

তুমুল প্রতিভা নিয়ে ২০১৫ সালে জাতীয় দলে ঢুকলেও নামের প্রতি সুবিচার করতে দীর্ঘদিন লেগে গেছে লিটনের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিত শক্ত করেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যদিও এখনও সেভাবে ধারাবাহিক নন তিনি। তবে টেস্টে তার ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা নিঃসন্দেহে আশা জাগানিয়া ব্যাপার।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের কাছে লিটন শোনান নিজের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দায়িত্ব নেওয়ার তাগিদ অনুভবের কথা, 'আমি প্রায় ৯-১০ বছর হয়ে গেছে ক্রিকেট খেলছি। ওইটুকু অভিজ্ঞতা তো হয়েছে। এখনই সময় দায়িত্ব নেওয়ার। তো এখন যদি দায়িত্ব না নেই, তাহলে আর কবে! আর আমি বলছি যে দায়িত্ব নেওয়ার সময় এসেছে, তার মানে জিনিসটা এই না যে, প্রতি ম্যাচে আমাকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমি মানুষ, ভুল হতে পারে।'

২৯ বছর বয়সী লিটনকে সাধারণত চালিয়ে খেলতে দেখা যায়। টেস্টেও সুযোগ পেলে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হতে দ্বিধা করেন না তিনি। তার মতে, বর্তমান পরিস্থিতির দাবি এটা, 'আমি যে খুব আক্রমণাত্মক খেলি, ব্যাপারটা তা না। আমার কাছে যেটা মনে হয়, স্কোরিং জোনের বল পেলে আমি ওইটাতে স্কোর করার চেষ্টা করি। এখন যে কোনো সংস্করণে দেখবেন রান করাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। আমার কাছে মনে হয়, আমি যে ধরনের ব্যাটিং করি, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে, পুরো বিশ্বেই এখন সবাই আক্রমণাত্মক ঢঙেই ক্রিকেটটা খেলে। এটা স্বাভাবিক বিষয় যে, টেস্ট ক্রিকেটে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো থাকে। তাই আউট হওয়ার সম্ভাবনা যেমন বেশি থাকে, স্কোর করার সুযোগও বেশি থাকে।'

উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় থাকলে ব্যাটিংয়ে সুবিধা হয়, এমনটা মনে করেন না লিটন, 'কিপিং কখনও ব্যাটিংয়ে সাহায্য করে না। কিপিং খেলার একটা অংশ। যদি ফিল্ডিং করি, তাহলে ফিল্ডিং যেভাবে করতে হয়, কিপিং জিনিসটাও একই।'

আসন্ন ভারত সফরকে সামনে রেখে মিরপুরে চলছে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন। পাকিস্তানে পাওয়া সাফল্যকে অতীত হিসেবে উল্লেখ করে সামনে তাকিয়ে তিনি। তার দৃষ্টিতে, ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হবে টাইগারদের জন্য, 'দেখুন, আমরা পাকিস্তানে খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আমার কাছে মনে হয়, এটা অতীত হয়ে গেছে। এটা থেকে আমরা কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। যখন ভারত ঘরের মাঠে খেলবে, তখন ভারত সব সময় তুলনামূলক ভালো দল। তাদের কন্ডিশনে তারা খুব ভালো দল। টেস্ট ক্রিকেটে যদি র‍্যাঙ্কিং ধরেন, তাহলে তারা ওপরে। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিংই হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

57pc graduates struggle to get jobs: study

Around 57 percent graduates in Public Health discipline face significant challenges in finding jobs in relevant fields, according to a new study by Bangladesh Health Watch (BHW)

5h ago