বাংলাদেশ সফর নিয়ে চলতি সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা

ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, নিরাপত্তা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সম্মতি দিবে কিনা।
ছবি: এএফপি

আগামী অক্টোবরে দুটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। এই সফরের জন্য তাদের নিরাপত্তা প্রতিবেদন তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেটা পাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) পরামর্শ নেবে দেশটির ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসএসিএ)। দুই পক্ষের আলোচনার প্রেক্ষিতে চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বাংলাদেশে আসা-না আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সিএসএ।

সোমবার ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো এই খবর দিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সম্মতি দিবে কিনা।

সিএসএর কয়েকটি সূত্র ইএসপিএনক্রিকইনফোকে জানিয়েছে, তাদের কাছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার তথ্য রয়েছে। তারা সফর করতে পারার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে তারা জোর দিয়েছে যে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি মূল্যায়নে কোনো ঝুঁকি চিহ্নিত হলে তারা বাংলাদেশে ভ্রমণ করবে না।

আসন্ন টেস্ট দুটি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। চলমান চক্রে দক্ষিণ আফ্রিকার আর মাত্র ছয়টি ম্যাচ বাকি আছে। তারা ইতোমধ্যে ছয়টি ম্যাচ খেলেছে। দুটি জিতেছে, তিনটি হেরেছে এবং বাকিটি ড্র করেছে। বর্তমানে তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার সপ্তম স্থানে। লর্ডসে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে হলে তাদেরকে বাকি ম্যাচগুলোর অন্তত পাঁচটি জিততে হবে।

বাংলাদেশ সফরে আসলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা নেই মার্কো ইয়ানসেন ও জেরাল্ড কোয়েটজির। তবে চোটে থাকা উভয় পেসারই নভেম্বরের মধ্যে মাঠে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসের শুরুতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। মূলত, নিরাপত্তা ইস্যুতে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের সরকারের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago