চলতি বছর সবগুলো টেস্ট খেলবেন সাকিব: প্রধান নির্বাচক 

Shakib Al Hasan
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

চলতি বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সূচিতে থাকা ৮ টেস্টের সবগুলোইতেই খেলার জন্য নির্বাচকদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। খেলার আগে অনুশীলন সেশনেও তিনি নিয়মিত হবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে সোমবার বিকেলে রওয়ানা হচ্ছে বাংলাদেশ দল। কানাডা থেকে পাকিস্তানে গিয়ে টেস্ট স্কোয়াডে যোগ দেবেন সাকিব।

পাকিস্তান সফরের দল নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচক সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানান সাকিবকে দলে রাখার ব্যাপারে কেবল তার ক্রিকেটীয় মেধাই প্রাধান্য পেয়েছে, 'সাকিবের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। গত মাসেও ছিলো, এই মাসেও আছে। এটা একটা প্রক্রিয়া। তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়েই যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সব মিলিয়েই তিনি দলে আছেন।'

ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে থাকা সাকিব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ভীষণ ব্যস্ত। জাতীয় দলের খেলায় তাকে মাঝে মাঝেই বিরতি নিতে দেখা যায়। বিশেষ করে টেস্টে গত কয়েক বছরে তিনি ছিলেন অনিয়মিত।

তবে দলের সেরা এই তারকাকে নিয়মিত পাওয়ার ব্যাপারে গত জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময়ই সভা করেছিল বিসিবি। এবার পাকিস্তান সফরের আগে তার কাছ থেকে মিলেছে নিশ্চয়তা,  'সম্ভবত জুলাইয়ের শেষ দিকে সাকিবের সঙ্গে অনেকদিন পর আমার কথা হয়। তার খোঁজখবর নেই। ৬-৭ তারিখের দিকে আবার কথা হয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজের  সময় তার সঙ্গে আমাদের সভা হয়েছিলো। কারণ সামনে অনেকগুলো টেস্ট, সেখানে তাকে পাওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। তখন তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন। এই পরিস্থিতি আবার আমাকে এটা জানতে হয়েছে। শুধু ফোন না, ই-মেইলও আদান প্রদান হয়েছে তিনি এভেইলেবল থাকবেন কিনা। এভেইলেবলের পাশাপাশি প্রত্যেক সিরিজের আগে যে অনুশীলন সেশন হয় সেখানে তিনি থাকবেন কিনা সেটাও জানার বিষয় ছিলো।'

গাজী আশরাফ জানান শীর্ষ অলরাউন্ডারের কাছ থেকে সেই নিশ্চয়তা মিলেছে, 'আটটা টেস্ট ম্যাচ হবে যেটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিয়ে শেষ হবে ডিসেম্বরে। সবগুলোতেই তিনি এভেইলেবল থাকবেন। এবং তিনি নিয়মিত অনুশীলন সেশনেও থাকবেন। হ্যাঁ, অনুশীলন সেশনে সব খেলোয়াড়, বিদেশি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা ইস্যু থাকে। এটা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমরাও ভেবেছি, অনেক ইস্যু ছিলো। খেলার বাইরে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তার নির্বাচন হয়েছে তার খেলার মেধার ক্ষেত্রে। তার মেধার জায়গাটাকে সমুন্নত রেখেছি। আগামীতেও আমি মনে করি মেধাটাকে গুরুত্ব দিতে পারব।।'

প্রধান নির্বাচক জানান সবদিকেই যেহেতু সংস্কার হচ্ছে, জাতীয় দলের ক্রিকেটার থাকা অবস্থায় কেউ রাজনীতিতে আসতে পারবেন কিনা। আবার কেউ রাজনীতি করলে তাকে নির্মোহভাবে বিচার করা হবে কিনা দুই পক্ষেরই ব্যাপারটা ভেবে দেখতে হবে।

২১ অগাস্ট পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। ৩০ অগাস্ট দ্বিতীয় টেস্ট হবে করাচিতে।

Comments

The Daily Star  | English

Specific laws needed to combat cyber harassment

There is an absence of a clear legal framework and proper definitions when it comes to cyber violence against women, speakers said at an event yesterday.They urged for specific legislation to combat such crimes..The roundtable, titled “Scanning the Horizon: Addressing Cyber Violence agains

2h ago