বাদ পড়লেন সাকিব, হারের বৃত্ত ভেঙে জিতল লস অ্যাঞ্জেলেস
মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) প্রথমবার পা রেখে সময় মোটেই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে দল থেকেই বাদ পড়ে গেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স তাদের সবশেষ ম্যাচে এই অলরাউন্ডারকে রাখেনি একাদশে। টানা তিনটি হারের পর অবশ্য জয় পেয়েছে সুনিল নারাইনের দল। মাঝে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় বৃষ্টির কারণে।
সিয়াটল অরকাসের বিপক্ষে সাকিবের জায়গায় যাকে নামানো হয়েছিল, তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। আফগানিস্তানের চায়নাম্যান ওয়াকার সালামখিল সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম ২ ওভারেই খরচ করে ফেলেন ২৬ রান। এরপর তাকে আর বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক নারাইন। তবে বুধবার রাতের ম্যাচে সিয়াটলকে ১৪২ রানে আটকে রাখতে সক্ষম হয় লস অ্যাঞ্জেলেস। ৫ বল হাতে রেখে এরপর লক্ষ্য তাড়া করে দলটি জিতে যায় ৪ উইকেটে।
সেই প্রথম ম্যাচে জয়ের মুখ দেখতে পেয়েছিল লস অ্যাঞ্জেলেস। এরপর মাঠে গড়ানো তিনটি ম্যাচই হেরেছিল দলটি। যেদিন আবার জয়ের হাসি ফুটে ওঠে তাদের মুখে, সেদিন সাকিব থাকেননি মাঠে।
আমেরিকার লিগটিতে কোনো ম্যাচে সর্বোচ্চ ছয়জন বিদেশি খেলানোর নিয়ম রয়েছে। নইলে বাদ পড়ার দিন আরও আগেই হয়তো দেখতে পারতেন সাকিব। বাইশ গজে যে দুর্বিষহ সময়ই পার করছেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখেছিল নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রথম চার ম্যাচেই সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি চারে ব্যাট করার। আগেভাগে ব্যাটিংয়ে নেমেও সাকিব মাত্র ৬০ রান করতে পারেন ১২৫ স্ট্রাইক রেটে।
টেক্সাস সুপার কিংসের বিপক্ষে করেন ১৩ বলে ১৮ রান। স্যান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নসের বিপক্ষে খেলেন ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। পরের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৭ ও ০ রানে আউট হন সাকিব।
বল হাতেও একই দশা। একটি ম্যাচেও পুরো চার ওভার বোলিং করানো হয়নি তাকে। চার ম্যাচে বাঁহাতি এই স্পিনার মাত্র একটি উইকেট নিতে পারেন। ওভারপ্রতি রান বিলিয়ে দেন ১১.১০ করে। প্রথম ম্যাচে ৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ১ উইকেট। এরপরের দুই ম্যাচে দুই ওভারের বেশি করার সুযোগ হয়নি তার। সেই দুই ওভারে এক ম্যাচে দিয়েছিলেন ২৭ রান, আরেক ম্যাচে ২৩। আর এমএলসিতে তার চতুর্থ ম্যাচে ৩ ওভার করে রান দেন ২৯।
ছয় ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের ম্যাচ বাকি রয়েছে আর একটি। মেজর লিগে প্রথমবার খেলতে যাওয়া সাকিবের দল রয়েছে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে।
Comments