ইডেনে গাঙ্গুলির রেকর্ড ভেঙে দিলেন নিলামে অবিক্রীত সল্ট

ছবি: এএফপি

এবারের আইপিএলের আগে হওয়া খেলোয়াড় নিলামে অবিক্রীত ছিলেন ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট। গত মাসে স্বদেশি জেসন রয় ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানোয় কপাল খুলে যায় তার। সুযোগের সদ্ব্যবহার করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে একের পর এক ম্যাচে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সেই ধারায় দলটির ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে ১৪ বছর ধরে টিকে থাকা একটি রেকর্ড ভেঙে দিলেন এই ডানহাতি বিস্ফোরক ওপেনার।

আইপিএলের এক মৌসুমে ইডেনে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক এখন সল্ট। চলতি আসরে ওই মাঠে ছয় ইনিংসে ৬৮.৬০ গড় ও ১৮৬.৯৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেছেন ৩৪৪ রান। ফলে ভাঙা পড়েছে ভারত ও কলকাতার সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির কীর্তি। তিনি ২০১০ সালে সাত ইনিংসে করেছিলেন ৩৩১ রান। এক যুগেরও বেশি সময় পর গাঙ্গুলিকে টপকে শীর্ষস্থান দখল করেছেন সল্ট।

গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত আইপিএলের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দেয় কলকাতা। দলটির জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন সল্ট। তার আগ্রাসনেই ২১ বল হাতে রেখে ১৫৪ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৩৩ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। আসরে এটি তার চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে চলমান আইপিএলে খেলা নয় ম্যাচে সল্টের রান বেড়ে হয়েছে ৩৯২। প্রতিযোগিতার শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় ঢুকে গেছেন তিনি। তার গড় ৪৯ ও স্ট্রাইক রেট ১৮০.৬৪।

আইপিএলের গত আসরে সল্ট ছিলেন দিল্লিতে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরে এটি ছিল তার প্রথম অংশগ্রহণ। নয় ম্যাচ খেলে তার পারফরম্যান্স ছিল ভালো-মন্দ মিলিয়ে। দুই ফিফটিতে ২১৮ রান করেছিলেন ১৬৩.৯০ স্ট্রাইক রেটে। তবে তাকে ধরে রাখেনি দিল্লি।

গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সবশেষ খেলোয়াড় নিলামের আগে ভিত্তি মূল্য দুই কোটি থেকে কমিয়ে দেড় কোটিতে আনেন সল্ট। তারপরও কাজ হয়নি। নিলামে দল মেলেনি তার। অথচ ঠিক আগের সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সফরে দুটি বিধ্বংসী টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। অবশেষে গত মাসে সুসংবাদ আসে সল্টের কাছে। রয়ের বদলি হিসেবে তাকে দলে টানে কলকাতা। আর সুযোগ লুফে নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়ে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে চলেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago