শেষ ওভারে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়ে লখনউকে জেতালেন স্টয়নিস

আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। এলোমেলো লাইন-লেংথে শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও তিনটি চার হজম করলেন মোস্তাফিজ।
ছবি: বিসিসিআই

খরুচে বল করা মোস্তাফিজুর রহমানের কাঁধে পড়ল কঠিন দায়িত্ব। কিন্তু তার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান দিতে পারলেন না বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। এলোমেলো লাইন-লেংথে শেষ ওভারে একটি ছক্কা ও তিনটি চার হজম করলেন তিনি। মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হওয়া মার্কাস স্টয়নিস লক্ষ্য তাড়ায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে খেললেন রেকর্ডগড়া ইনিংস। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারের নৈপুণ্যে মুখোমুখি সাক্ষাতে লখনউ সুপার জায়ান্টস ফের জয় পেল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে।

মঙ্গলবার আইপিএলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে বড় রান তাড়ায় ৩ বল হাতে রেখে স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়েছে লখনউ।

টস জিতে চেন্নাইকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সফরকারীরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সেঞ্চুরিতে প্রতিযোগিতার শিরোপাধারীরা ৪ উইকেটে ২১০ রান তোলে। জবাবে ১৯.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৩ রান করে বিজয়ীর হাসি হাসে লখনউ। গত ১৯ এপ্রিল দুই দলের আগের দেখায় লখনউতে ৮ উইকেটে হেরেছিল চেন্নাই।

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য লখনউয়ের দরকার ছিল ৪৭ রান। ১৮ ও ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ ও শ্রীলঙ্কার পেসার মাথিশা পাথিরানা সমান ১৫ রান করে দেন। ফলে শেষ ৬ বলে লোকেশ রাহুলের নেতৃত্বাধীন দলের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৭ রান।

আক্রমণে আসা মোস্তাফিজকে প্রথম ডেলিভারিতে লং-অন দিয়ে ছক্কা মারেন স্ট্রাইকে থাকা স্টয়নিস। দ্বিতীয় বলে আসে চার। মোস্তাফিজের করা পরের লো ফুল টস ডেলিভারিটি ছিল নো। তাতে আরেকটি চার এনে ম্যাচ মুঠোয় নিয়ে আসেন স্টয়নিস। এরপর ফ্রি হিটে ফাইন লেগ দিয়ে আবার চার হাঁকিয়ে সমীকরণ মিলিয়ে গোটা স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেন তিনি। অন্যপ্রান্তে থাকা দীপক হুডার স্ট্রাইকে আসার দরকারই পড়েনি।

ব্যর্থতার রাতে ৩.৩ ওভারে ৫১ রান খরচায় মোস্তাফিজ শিকার করেন কেবল রাহুলের উইকেট। আগের দুই ম্যাচেও তার বোলিং পারফরম্যান্স ছিল একইরকম। একটি করে উইকেট পেলেও খরুচে ছিলেন তিনি। লখনউয়ের বিপক্ষে ৪৩ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫৫ রান দিয়েছিলেন।

সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে মোস্তাফিজের উইকেটসংখ্যা বেড়ে হলো ১২টি। ১৩টি করে উইকেট নিয়ে চলমান আইপিএলে উইকেটশিকারিদের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে আছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, যুজবেন্দ্র চাহাল ও হার্শাল প্যাটেল।

গায়কোয়াড়ের ১২ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ৬০ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস ছাপিয়ে নায়ক বনে যান স্টয়নিস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতার পথে তিনি অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। ৬৩ বল মোকাবিলায় ১৩ চারের সঙ্গে ৬ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।

আইপিএলের ইতিহাসে লক্ষ্য তাড়ায় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড এখন স্টয়নিসের। তিনি ভেঙে দিলেন ১৩ বছরের পুরনো রেকর্ড। ২০১১ সালে চেন্নাইয়ের বিপক্ষেই ৬৩ বলে ১২০ রানে অপরাজিত ছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) পল ভালথাতি।

Comments