প্রথম ৬ ওভারে ১২৫ রান তুলে হায়দরাবাদের বিশ্ব রেকর্ড
ইনিংসের শুরু থেকেই প্রবল উত্তাল হয়ে উঠল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনারের ব্যাট। ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার তাণ্ডবের সামনে স্রেফ উড়ে গেলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলাররা! তাদের নৈপুণ্যে তৈরি হলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে বেশি রান তোলার নতুন বিশ্ব রেকর্ড।
শনিবার আইপিএলের ম্যাচে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লির বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ১২৫ রান তোলে হায়দরাবাদ।
আইপিএলে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই পাওয়ার প্লেতে এত রান করতে পারেনি আগে কোনো দল। ভারতের ঘরোয়া আসর আইপিএলের রেকর্ডটা এতদিন ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দখলে। ২০১৭ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬ ওভারে ১০৫ রান তুলেছিল তারা।
আগের বিশ্ব রেকর্ডটা ছিল নটিংহামশায়ারের নামের পাশে। ২০১৭ সালেই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া আসর ন্যাটওয়েস্ট টি–টোয়েন্টি ব্লাস্টে ডারহামের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে ১০৬ রান তুলেছিল তারা।
পাওয়ার প্লেতে হওয়া ৩৬টি বলের মধ্যে স্রেফ পাঁচটি ডট দিতে পারে দিল্লি। বাকি ৩১টি বলের মধ্যে হায়দরাবাদ হাঁকায় ১৩টি চার ও ১১টি ছক্কা!
প্রথম ৬ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার হেড ২৬ বলে ৮৪ ও ভারতের তরুণ অলরাউন্ডার অভিষেক ১০ বল ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ফিফটিতে পৌঁছাতে হেডের লাগে মাত্র ১৬ বল। হায়দরাবাদের জার্সিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির যৌথ রেকর্ড এটি। চলতি আসরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন অভিষেক।
তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে হায়দরাবাদের দলীয় পঞ্চাশ পূরণ হওয়ার পর স্কোরবোর্ডে শতরান উঠে যায় পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৫ ওভারের মধ্যে ১০০ রান করার কীর্তি গড়ে তারা।
খলিল আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই হায়দরাবাদ তোলে ১৯ রান। ললিত যাদব পরের ওভারে দেন ২১ রান। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে ফিরে সমান সংখ্যক রানই হজম করেন তিনি। আনরিখ নরকিয়া তৃতীয় ও মুকেশ কুমার ষষ্ঠ ওভারে দেন সমান ২২ রান। কুলদীপ যাদবের করা পঞ্চম ওভারে আসে ২০ রান।
Comments