ভালো উইকেটে খেলার সুবিধা দেখছেন মিরাজ

Mehidy Hasan Miraz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঘরের মাঠে মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেটে খেলার বদনাম ছিলো বাংলাদেশের। তবে ক্রমশ সেসব চিন্তা থেকে সরে আসছে দল। আইসিসি ইভেন্টের কথা মাথায় রেখে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে নিয়মিত। এমন উইকেটে স্পিনারদের জন্য অনেক কিছু শেখার সুযোগ দেখছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হচ্ছে ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেটে। ঘাসের ছোঁয়া থাকা বাইশ গজে বল ব্যাটে আসছে ভালো। পেসারদের জন্য শুরুতে থাকছে সিম মুভমেন্ট। স্পিনারদের চ্যালেঞ্জই একটু বেশি।

সোমবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ওয়ানডেতেও বেশ ভালো উইকেটেই খেলা হওয়ার কথা। এমন উইকেটে পেসাররই নেন বোলিং আক্রমণে মূল ভূমিকা। প্রথম ম্যাচে যেমন তিন পেসার মিলে নেন ৯ উইকেট, মিরাজ পান একটি।

দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেটের পাঁচটা ফেলেন পেসাররা। মিরাজ আর তাইজুল ইসলাম পান একটি করে উইকেট।

শেষ ম্যাচেও পেসারদের সহায়ক ভূমিকা পালন করাই হবে মিরাজদের দায়িত্ব। উইকেটের কারণেই ঘরের মাঠে স্পিনারদের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। মিরাজের মতে এটা খুব ইতিবাচক দিক। এমন উইকেটে খেলে অভ্যস্ত হলে বড় ইভেন্টে গিয়ে ভালো করার কৌশল খুঁজে পাবেন তারা,  'একটা জিনিস খুব ভালো হচ্ছে আমরা ভালো উইকেটে খেলছি। এটা আমাদের জন্য সুবিধা। আমরা সবাই ফলাফল খুঁজি যে জিততে পারছি না বা আমরা হারছি। একটা জিনিস দেখেন আমরা যখন বড় কোনো টুর্নামেন্টে যাই তখন কিন্তু আমাদের ট্রু উইকেটে খেলা হয়। এরকম উইকেটে খেললে কিন্তু আমাদের অভ্যাস ভালো হয় স্পিনারদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে, পেসারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে।' 

'এখানে খেলে যদি বুঝি কীভাবে ৩০০ রান ডিফেন্ড করতে হবে এবং কীভাবে ৩০০+ রান তাড়া করতে হবে তাহলে আমাদের বড় টুর্নামেন্টে যেমন বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপে গিয়ে ফল আসবে। কারণ বিগত দিনের অভিজ্ঞতা সবারই জানা আছে। আমার কাছে মনে হয় এটাই আদর্শ উইকেট। এরকম উইকেটে আমাদের ম্যাচ খেলাটা আদর্শ। যদি এখন থেকে অভ্যাস করতে পারি। ব্যাটাররা বড় রান করতে পারি , বোলাররা ডিফেন্ড করতে পারি। এটা করতে পারলে ভবিষ্যতে আমাদের বড় টুর্নামেন্টে  সাফল্য আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago