‘অনেক তরুণ খেলোয়াড়ের ফিটনেস আমার ধারেকাছেও নেই’, মুশফিকের চ্যালেঞ্জ

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মুশফিকুর রহিমের ফিটনেস আর নিবেদন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেছে এমন শোনা যায়নি। খেলার বাইরে অনুশীলনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো খেলোয়াড়দের একজন তিনি। তবে নিজের ফিটনেস নিয়ে সগর্ব উচ্চারণ করতে দেখা গেলো ৩৬ পেরুনো এই ক্রিকেটারকে। অনেকটা চ্যালেঞ্জ করেই বলেছেন, অনেক তরুণ খেলোয়াড়ের ফিটনেস তার ধারেকাছেও নেই।

প্রসঙ্গটা এসেছিলো মূলত ফরচুন বরিশালের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে। অভিজ্ঞতায় ভর করে তারা বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে। মুশফিকের পাশাপাশি ভালো করছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলটির হয়ে খেলে গেছেন ৪২ পেরুনো পাকিস্তানের শোয়েব মালিক।

অথচ টুর্নামেন্টের আগে বয়সের কারণে সার্বিক খেলায় ছাপ পড়ার শঙ্কা ছিলো। বিশেষ করে ফিল্ডিং ও দ্রুত রান তোলায় নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। টুর্নামেন্টের শুরু দিকে ভুগতেও থাকে বরিশাল। তবে কয়েকজন ভালো বিদেশি খেলোয়াড়ের উপস্থিতিতে সমন্বয় পেতে বেশি দেরি হয়নি। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মেয়ার্স দলটির উত্থানে রাখছেন বড় ভূমিকা।

বুধবার রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠার পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন ৪৭ রান করে ম্যাচ সেরা হওয়া মুশফিক। সেখানে নিজে থেকেই সমালোচনাকারীদের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি। খোঁচা দিচ্ছিলেন কিছু নির্দিষ্ট সমালোচনার।

এসব সমালোচনাই বরিশালকে অনুপ্রাণিত করল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রথমে রক্ষণাত্মক হলেও পরে একটা চ্যালেঞ্জের ছুঁড়ে দিলেন তিনি,   'না ভাই, আমাকে অনুপ্রাণিত করে না (সমালোচনা)। আমার কাছে খারাপ লাগে। কারণ আপনি যদি এখনও অনেক তরুণ খেলোয়াড়দের আমার সামনে নেন, আমি অবশ্যই নিশ্চিত তারা আমার ফিটনেসের ধারেকাছেও থাকতে পারবে না। আমি এটা লিখে দিতে পারি।'

মুশফিকের কাছে ফিটনেসের মাপকাঠি হচ্ছে পারফরম্যান্স আর বয়স হচ্ছে স্রেফ একটা সংখ্যা। তিনি এতে উদাহরণ হিসেবে টেনেছেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে, 'ফিটনেসের ক্রাইটেরিয়া কীভাবে দেবেন বয়স বা ধরেন পারফরম্যান্সে। আমার কাছে মনে হয় বয়স ও পারফরম্যান্সের থেকে সবচেয়ে বড় হয় ফিটনেস বা পারফরম্যান্সটা কতটুকু। বয়স জাস্ট অ্যা নম্বর। না হলে জেমি অ্যান্ডারসনের মতো এরকম প্লেয়ার ১৮৮ টা টেস্ট খেলা (১৮৭),  খুব বিরল থাকতো। কিন্তু এখনও হি ইজ ডুয়িং হোয়াট হি ডাজ বেস্ট।'

'আমার কাছে মনে হয় এই কথাটা খুব ভুল। আমি ব্যক্তিগতভাবে কাউকে প্রমাণ করার জন্য খেলি না। আমাকে যে নেয়, আমাকে যে দল নিয়েছে, বিশেষ করে তামিম ও বরিশালের মালিকপক্ষ, তাদের ওই ভরসাটা দেওয়ার জন্য। তারা যে চিন্তা করে নিয়েছে সেটা যেন আমি আমার পারফরম্যান্স দিয়ে প্রমাণ করতে পারি। প্রমাণের কিছু না, ভরসা যেন আমি দিতে পারি।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

14h ago