সাক্ষাৎকার

‘এই সিরিজ আমাকে সামনে এগুনোর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে’

Rishad Hossain
বাংলাদেশের জার্সিতে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বড় ফল করতে বাংলাদেশ দলে একজন লেগ স্পিনারের প্রয়োজনীয়তা অনেক দিনের।  প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তাই  নিউজিল্যান্ড সফরে বড় অর্জনের খাতায় রাখছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে পাওয়া। জুতসই পারফর্ম করা এই লেগ স্পিনারকে আগামীতে আরও অনেক সুযোগ দিতে চান তিনি। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপে রিশাদও শুনিয়েছেন তার প্রত্যাশার কথা।

নিউজিল্যান্ড সিরিজ আপনার কেমন গিয়েছে?

রিশাদ হোসেন: আলহামদুলিল্লাহ। আমার জন্য খুব ভালো গিয়েছে। আমি স্বাধীনতা নিয়ে খেলেছি যেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজ আমাকে সামনে এগুনোর আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, চাপের সময়ে কীভাবে খেলতে হয় সেটা বুঝেছি। আমি বলব না খুব ভালো করেছি কিন্তু এই সফর আমাকে ক্রিকেটার হিসেবে সাহায্য করবে।

কোচ কি স্বাধীনতা দিয়েছেন?

রিশাদ: অবশ্যই। আমি টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি। কোচ আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করছেন। আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন যাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারি। তিনি বলেছেন আমি যেন কোন কিছু নিয়ে ভীত না থাকি। আমার সতীর্থ ও অধিনায়ক সমর্থন দিয়েছে্ন। আমি সব সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যায়ন পেয়েছি।

আপনার বোলিংয়ের শক্তি কি?

রিশাদ: আমার মনে হয় ঠিক লাইন-লেন্থে বল ফেলা, ধারাবাহিক থাকা আমার শক্তির জায়গা। লেগ স্পিনার হওয়া খুব কঠিন। আমি এমন বোলার হতে চাই না যে কিনা শুধু রান দেয় বা উইকেট নেয়। আমি দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি। দলের দেওয়া ভূমিকা পালন করতে চাই। আমার উচ্চতার কারণে পিচ থেকে বাড়তি বাউন্স পাই। একই সঙ্গে আমি আমার গুগলি, ফ্লিপার নিয়ে কাজ করছি।

ঘরোয়া ক্রিকেটে লেগ স্পিনাররা বেশি ম্যাচ পায় না। আপনার মনে হয় এই সফরের পর এটা বদলাবে?

রিশাদ: অবশ্যই। কিন্তু আমি আগেও বলেছি খেলোয়াড়দেরই দায়িত্ব সুযোগ কাজে লাগানো। আপনি লেগ স্পিনার হোন বা ব্যাটার হন। যখন সুযোগ আসবে সেটা কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি ঘরোয়া ক্রিকেটে আরও বেশি খেলতে পারি তাহলে সেটা আমাকে অভিজ্ঞ কর তুলবে।

লেগ স্পিন তো কঠিন শিল্প। আপনি কীভাবে লেগ স্পিনার হলেন?

রিশাদ:  আমি ছোটবেলা থেকে বল ঘোরাতে পছন্দ করি। আমি সব সময় লেগ স্পিনার হতে চেয়ছি। আপনি যেটা বললেন লেগ স্পিন কঠিন শিল্প, আমি সব সময় শেখার মধ্যে আছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখনই লেগ স্পিনার দেখি আমি তুমুল আগ্রহ বোধ করি। আমার শৈশবের কোচ আরমান আলি মনু ভাইয়ের কাছে বোলিং শুরু করি। এখন আমি আবু সায়েম মেহেদী স্যারের সঙ্গে কাজ করছি, যিনি বিকেএসপির কোচ। আমি যখনই মানসিকভাবে কাবু হয়ে যাই তখন তাদের সঙ্গে কথা বলি।

সব সংস্করণে খেলতে চান?

রিশাদ: ক্রিকেটার হিসেবে দেশকে যেকোনো সংস্করণে প্রতিনিধিত্ব করা স্বপ্নের মতন। সেটা টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে কিংবা টেস্ট হোক। কিন্তু এখন আমি বিপিএল নিয়ে ভাবছি। আমি সেখানে মনোযোগ দিতে চাই ও পারফর্ম করতে চাই।

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের দিনগুলো কেমন ছিলো?

রিশাদ: আমি যখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে বাদ পড়লাম, আমি হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কঠিন ছিলো কিন্তু আমি আমার ফোকাস ধরে রেখে সুযোগের অপেক্ষায় থেকেছি।

আপনার প্রিয় বোলার কে?

রিশাদ: ইশ সোধিকে আমার ভালো লাগে। কিন্তু আমি কাউকে অনুসরণ বা অনুকরণ করি না। তার বোলিং স্টাইল আমার ভালো লাগে।

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

2h ago