বাংলাদেশের পেসারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নিশাম
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন পেসাররা। দুটি ম্যাচেই ফাস্ট বোলারদের তোপে কিউইদের অল্পতে বেঁধে ফেলে স্মরণীয় ফল আদায় করল টাইগাররা। শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমানদের এমন পারফরম্যান্স কেড়ে নিল কিউই অলরাউন্ডার জেমস নিশামের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও।
শনিবার নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই সংস্করণে ১০ ম্যাচে এটাই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রথম জয়। গত শনিবার একই মাঠে ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে কিউইদের বিপক্ষে ৯ উইকেটে জিতেছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। তার আগে নিউজিল্যান্ডের আঙিনায় তাদের বিপক্ষে টানা ১৮ ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ।
চলমান সফর দিয়ে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দীর্ঘ অপেক্ষা। পূরণ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের তিন সংস্করণেই জয়ের চক্র। এবারের সীমিত ওভারের দুই জয়ের আগে গত বছরের শুরুতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। লক্ষণীয় বিষয় হলো, প্রতিটি জয়েই পেসাররা উপহার দেন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স।
এদিন দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের ১৩৪ রানে বেঁধে ফেলে বাংলাদেশ। তাদের পতন হওয়া নয় উইকেটের ছয়টিই নেন পেসাররা। নতুন বলে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে থাকা বাঁহাতি শরিফুল ৩ উইকেট শিকার করেন ২৬ রানে। ভীষণ আঁটসাঁট থাকেন আরেক বাঁহাতি মোস্তাফিজ। তিনি চার ওভারে স্রেফ ১৫ রানে পান ২ উইকেট। ডানহাতি সাকিব অবশ্য খরুচে ছিলেন। ১ উইকেট নিতে তিনি বিলিয়ে দেন ৪৫ রান। তবে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ভীষণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন তিনি। সেদিন সাত ওভারে মাত্র ১৪ রানে দখল করেছিলেন ৩ উইকেট।
হেরে গেলেও ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ড তারকা নিশাম বাংলাদেশের পেসারদের নৈপুণ্যকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, 'আমার মনে হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশ কিছু ভালো মানের পেসার আবিষ্কার করেছে। সেই একই পেস আক্রমণটাকে নিয়ে তাদেরকে খুশি দেখাচ্ছে। তারা যদি এভাবে ক্রমাগত উন্নতি করতে থাকে, তাহলে ভবিষ্যতে বিদেশের মাটিতে সফরে তাদের আরও বেশি সাফল্য না পাওয়ার কোনো আমি কারণ দেখি না।'
পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেট তুলে নিয়ে চালকের আসনে বসে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর আর মুঠো থেকে ম্যাচ বের হতে দেয়নি তারা। শুরুতে বলের এমন মুভমেন্ট দেখে অবাক হয়েছেন নিশাম, 'আমাদের সম্ভবত এই কন্ডিশনকে আরও একটু সমীহ করতে হবে। বলের ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ মুভমেন্ট আমরা দেখতে পেয়েছি। বিশেষ করে, আজকের প্রথম ৬ ওভারে এবং ওয়ানডেতেও (শুরুর দিকের ওভারগুলোতে)। নিউজিল্যান্ডে সাদা বলের ক্রিকেটে এমন কিছু দেখে আমরা আসলে তেমন অভ্যস্ত নই। এটা নিয়ে আমাদের সম্ভবত ছোটখাটো একটা আলোচনা করতে হবে।'
Comments