একের পর এক চোটে তছনছ পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ

ছবি: এএফপি

আঙুলের চোটের সঙ্গে যুক্ত হলো অ্যাপেন্ডিসাইটিস। ফলে চিকিৎসকের ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হলো নোমান আলীকে। এতে অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ হয়ে গেল বাঁহাতি স্পিনারের। সব মিলিয়ে তছনছ পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ।

শনিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ৩৭ বছর বয়সী নোমানের ছিটকে যাওয়ার খবর। আগের রাতে আচমকা তলপেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এদিন সকালে তার ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাপেন্ডিক্টোমি করানো হয়। তিনি এখন ভালো ও স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। বিকালেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে তার। কিন্তু মাঠে ফেরার পরিস্থিতি না থাকায় এই সিরিজে আর তাকে খেলতে দেখা যাবে না।

মেলবোর্নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের দ্বিতীয় টেস্ট। কিন্তু তার আগে খর্বশক্তির বোলিং আক্রমণ আরও দুর্বল হয়ে পড়ায় মহাবিপাকে আছে পাকিস্তান। দলটির মূল স্পিনার আবরার আহমেদ হাঁটুর চোটে ভুগছেন। স্কোয়াডের সঙ্গে থাকলেও পার্থে হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের মতো আসন্ন ম্যাচেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি সিরিজেই তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

অফ স্পিনার আবরারের জায়গায় নোমান ভূমিকা রাখতে পারতেন। কিন্তু তিনিও অসুস্থ হয়ে বিবেচনার বাইরে চলে গেছেন। পার্থে কোনো স্পিনার না খেলালেও মেলবোর্নে সেই পরিকল্পনা থেকে সরে আসার ভাবনা রয়েছে তাদের। সেক্ষেত্রে আরেক অফ স্পিনার সাজিদ খানকে দেখা যেতে একাদশে। আবরার চোটে পড়ার পর সতর্কতার অংশ হিসেবে সিরিজের শুরুতে সাজিদকে দলে নিয়েছে পাকিস্তান।

স্পিন বিভাগের মতো সফরকারীদের পেস বিভাগও চোটে জর্জরিত। তারকা পেসার নাসিম শাহ অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে আছেন। চোটের কারণে ভারতের মাটিতে সবশেষ বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তার। পার্থে অভিষেকের স্বাদ পাওয়া ডানহাতি পেসার খুররম শাহজাদও ছিটকে গেছেন। তার পাঁজরের হাড়ে ধরা পড়েছে চিড়। তাছাড়া, আরেক তারকা পেসার হারিস রউফ এই সিরিজ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন।

পার্থে বড় ব্যবধানে হেরে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের ভেন্যু সিডনি।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago