এক ইনিংসে এত বেশি দুই অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা?

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সবশেষ উইকেটটি পড়ে যায়। শরিফুল ইসলাম আউট হয়ে যান ১৩ রানে, ৮ রানে অপরাজিত থেকেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যেতে হলো তাইজুল ইসলামকে। বাংলাদেশের ইনিংসে তাই দুই অঙ্ক না ছুঁতে পারা একমাত্র ব্যাটার হয়ে থাকলেন তাইজুল। বাঁহাতি এই ব্যাটার অন্তত ১০ রান করতে পারলে একটি রেকর্ড বাংলাদেশ স্পর্শ করতো দ্বিতীয়বারের মতো। এক ইনিংসে সবাই দুই অঙ্কের রান করেছেন, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এমনটা হয়েছে যে মাত্র একবারই।

সিলেট টেস্টে আরেকবার সেটির সম্ভাবনা ফুটে ওঠলেও বুধবার শেষমেশ তা হলো না। তবুও তাতেই রেকর্ড হয়েছে একটি। তাইজুল বাদে একাদশের বাকি ১০ ব্যাটার দুই অঙ্কের রান করেছেন। টেস্টে বাংলাদেশের এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক দুই অঙ্কের ইনিংস দেখা গেল এতে। এর আগে নয়জন ব্যাটার দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন একই ইনিংসে, এমনটা যদিও সাদা পোশাকের বাংলাদেশ দল দেখেছে ১৫ বার।

যে ইনিংসে বাংলাদেশের ১১ জন ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্কের রান এনেছিলেন, সেটি হয়েছিল ২০১৮ সালে। মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তা ঘটেছিল। এরকম কিছু অবশ্য কালেভদ্রেই দেখা যায়। বাংলাদেশের ওই ইনিংসের বাইরে টেস্টের দেড়শ বছরের ইতিহাসে এমন নজির আছে আর মাত্র ১৪টি।

সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারত তাইজুল আর দুটি রান করতে পারলে। তবে সেটার আগেই ৩১০ রানে থামে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের একের পর এক ব্যাটার ভালো শুরু পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু এরপর উইকেট খুইয়ে আফসোসে পড়েছেন। ওপেনিংয়ে নেমে জাকির হাসান ও পরে মুশফিকুর রহিম আউট হয়েছেন সমান ১২ রান করে। অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক আউট হয়েছেন সমান ৩৭ রান করে। সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মাহমুদুল হাসান জয়।

অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ২৪ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংস খেলে আউট হয়ে যান। মারমুখী ভঙ্গিতে নুরুল হাসান সোহান তার ইনিংস নিয়ে যেতে পারেন ২৯ রান পর্যন্তই। মেহেদী হাসান মিরাজও করতে পারেননি ২০ রানের বেশি। লেজের ব্যাটারদের মধ্যে নাঈম হাসান খেলেন ১৬ রানের ইনিংস। শরিফুলও পাড়ি দেন দশের গন্ডি। কিন্তু একপ্রান্তে এক অঙ্কে অপরাজিতই থেকে যান তাইজুল!

Comments

The Daily Star  | English
Binimoy platform suspended by Bangladesh Bank

BB suspends Binimoy over irregularities

During the previous AL govt, it was developed by the IDEA under the ICT Division at a cost of Tk 65 crore.

11h ago