মাহমুদউল্লাহ ৬-৭ মাস বিরতির পর এসেছেন, মনেই হয়নি তামিমের
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষে দল থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ। প্রায় ছয় মাসের বেশি সময় বাইরে থাকার পর ফিরেছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে তার পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে তামিম ইকবালের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের মতে, মাহমুদউল্লাহ ছিলেন দুর্দান্ত।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৮৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় লড়াই জমাতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটাররা। ৪১.১ ওভারে মাত্র ১৬৮ রানে গুটিয়ে যায় লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।
গত মার্চের পর প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ। চলমান সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়ায় সেদিন ব্যাটিংয়ে নামতে পারেনি বাংলাদেশ। এদিন ছয়ে নেমে মাহমুদউল্লাহ ৭৬ বল মোকাবিলায় মারেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। ২০ ওভারের বেশি সময় ক্রিজে ছিলেন তিনি। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তার আউটে কার্যত বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়। এই হতাশার মাঝেও দারুণ একটি মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে ১০ হাজার রানের কীর্তি গড়েন।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসেন ওপেনার তামিম। চোট কাটিয়ে তিনিও এই সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন। তিনি মনে করছেন, মাঝের বিরতি মাহমুদউল্লাহর ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি, 'তিনি (মাহমুদউল্লাহ) দুর্দান্ত ছিলেন। আমিও (তার সঙ্গে) ছোট একটা জুটিতে ছিলাম। তার ইনটেন্ট অনেক ভালো ছিল। মনেই হয়নি যে ৬-৭ মাস বিরতির পর (দলে) এসেছেন। তাকে দেখে অনেক ভালো মনে হয়েছে। তার ফিল্ডিংও ভালো ছিল। বল যখনই গেছে, নিজের সেরাটা দিয়েছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, তিনি অনেক ভালো করেছেন।'
আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে মাহমুদউল্লাহ থাকবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। মাঝে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি সিরিজে সুযোগ হয়নি তার। সবশেষ এশিয়া কাপের স্কোয়াডেও জায়গা পাননি ৩৭ বছর বয়সী তারকা।
Comments