বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে 'রাইভ্যালরি' দেখেন না সাকিব
শুরুটা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে। তখন থেকেই বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুই দলকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করেন না।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে হওয়া নিদাহাস ট্রফিতে তাদেরকে দুই দফা হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লঙ্কানদের বিদায় করে টাইগাররা পেয়েছিল আসরের ফাইনালের টিকিট। দুটি ম্যাচই ছিল রোমাঞ্চে ঠাসা। পাশাপাশি উত্তেজনার পারদ ছিল চূড়ায়। মাঠে ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষায় ছিল যুদ্ধংদেহী ভাব। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয়বারের দেখায় জন্ম হয়েছিল বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ম্যাচ শেষ না করেই মাঠ ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন সাকিব। সেই থেকে দুই দলের রাইভ্যালরি বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়। তার আগে ফের উঠেছে দল দুটি পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী কিনা তা নিয়ে আলাপ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে সাকিব অবশ্য জল ঢেলে দেন উত্তাপে, 'আমি এটাকে রাইভ্যালরি (প্রতিদ্বন্দ্বিতা) বলে মনে করি না। তবে এই দুটি দেশ যখন মুখোমুখি হয়, তখন আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি। ভালো খেলা দেখাতে পারা সমর্থক ও সম্প্রচারকদের জন্যও ভালো।'
জয় দিয়ে এশিয়া কাপ শুরুর প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও স্বাগতিকদের নিয়ে সতর্ক আছেন বাংলাদেশের দলনেতা, 'আমরা অবশ্যই জিততে চাই। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সহজ হবে না।'
আসরের ফেভারিটদের তালিকার শীর্ষে রয়েছে দুটি নাম, ভারত ও পাকিস্তানের। ঐতিহাসিকভাবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে নিয়ে সবার আগ্রহের মাত্রাও বেশি। তবে সাকিব এসবে বিরক্ত নন, 'তারা ফেভারিট। তাই লোকেরা তাদের নিয়েই বেশি কথা বলবে। তবে পাশাপাশি বলতে হয় যে শ্রীলঙ্কাও অনেকবার এশিয়া কাপ জিতেছে। তো তারাও ফেভারিটদের মধ্যে অন্যতম। তবে এসব আমাকে মোটেও বিরক্ত করে না।'
এশিয়া কাপে এর আগে তিনবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা অধরা রয়ে গেছে বাংলাদেশের। সেখানে আবেগ ও স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে না পারার ভূমিকা ছিল। সেসব মাথায় রেখে নিজের চাওয়া পরিষ্কার করেন সাকিব, 'আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের খেলতে হবে এবং দেখতে হবে যে আমরা এই মুহূর্তে কী অবস্থায় আছি। তবে আমি মনে করি, ড্রেসিং রুম অনেক শান্ত। ড্রেসিং রুম এরকম থাকাটা ভালো ব্যাপার।'
এবারের আসরকে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে গুরুত্বে সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেন তারকা অলরাউন্ডার, 'বহুবার বলা হয়েছে যে অনেকেই এটাকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে নিচ্ছে। সেটার পাশাপাশি বলতে হবে যে এশিয়া কাপ কোনো ছোট প্রতিযোগিতা নয়। এটার ইতিহাস আছে। এখানে বড় বড় কিছু ম্যাচ হবে। আমরা এই টুর্নামেন্টকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। আমরা যদি এখানে ভালো করি, তাহলে এটা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস যোগাবে।'
Comments