এমন হারেও ‘একটা ভালো জিনিস’ দেখছেন মিরাজ

Mehidy Hasan Miraz

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জেতার লক্ষ্য তো বটেই আরও অনেক চাওয়া পূরণ করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ঘটনার দুর্বিপাকে বাকি চাওয়া দূরে থাক সিরিজও জেতা হলো না। এমনকি বাঁচা-মরার লড়াইয়ে হতশ্রী পারফরম্যান্স জন্ম দিল অনেক প্রশ্নের। তবু দলের হয়ে কথা বলতে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ এরমধ্যেও খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচক ব্যাপার।

শনিবার বাংলাদেশ দলকে ম্যাচের কোন অংশেই জিততে পারে এমন অবস্থা তৈরি করতে দেখা যায়নি। এলোমেলো বোলিং দিয়ে শুরুর পরই খেই হারান লিটন দাসরা। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে আফগানিস্তান ৩৩১ রান করার পর বাংলাদেশ ব্যাট হাতেও ছিল জবাবহীন। হারতে হয়েছে ১৪২ রানের বড় ব্যবধানে।

প্রথম ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার দেখেছিল স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে বেহাল দশা কাটানো যায়নি এবারও। দুই ম্যাচেই রশিদ খান, মুজিব উর রহমানদের ঘূর্ণির হিসাব মেলানো যায়নি। পেসার ফজল হক ফারুকি দুই ম্যাচেই হয়েছেন ভোগান্তির কারণ।

বিশাল ব্যবধানে হেরে সিরিজ খুইয়ে দলের প্রতিনিধি হয়ে গণমাধ্যমে হাজির হন মিরাজ। এমন বিবর্ণ দিনে তিনি সান্ত্বনার জন্য খুঁজে পেয়েছেন ইতিবাচক কিছু ফ্যাক্টর,  'একটা জিনিস ভালো হয়েছে। এই সিরিজটা দিয়ে একটা জিনিস ভালো হয়েছে, হয়ত আমরা হেরেছি। কিন্তু আমাদের কোথায় ঘাটতি আছে, কোথায় উন্নতি করতে হবে এই জিনিসগুলো খুঁজে বের করতে পারব।'

বিশ্বকাপ পর্যন্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন মাসে আছে অনেক লড়াই। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ পর দুই দল এশিয়া কাপে মুখোমুখি হবে গ্রুপ পর্বে। দুই দলই সুপার ফোরে উঠলে দেখা হবে অন্তত আরও একবার। এরপর ৭ অক্টোবর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুদল।

মিরাজের মতে বড় মঞ্চে লড়াই  সামনে রেখে এই হার তাদের চোখ খুলে দিতে পারে,  'যেহেতু এশিয়া কাপে ওদের বিপক্ষে খেলা আছে, বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচও  ওদের বিপক্ষে। ব্যাটাররা কীভাবে রান করবে, ওদের কীভাবে হেন্ডেল করবে। বোলাররা কীভাবে বল করবে। এশিয়া কাপের দেড়মাস, বিশ্বকাপের তিনমাস। এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় কাজ করতে পারব। যেহেতু লম্বা সময় পাচ্ছি আমাদের জন্য ভালো।'

Comments

The Daily Star  | English

IMF reaches agreement on $1.3 billion credit facility for Bangladesh

The global lender reaches agreement on third, fourth reviews of credit facility for the country

54m ago