প্রিমিয়ার লিগে নেমে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে উজ্জ্বল সাকিব

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে ছুটি নেওয়া সাকিব আল হাসান ফিরলেন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও বল হাতে দ্যুতি ছড়ালেন তিনি। বাঁহাতি অলরাউন্ডারের প্রত্যাবর্তনের দিনে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে অনায়াসে জিতল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

বুধবার সাভারের বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে বৃষ্টির কারণে ৩৪ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২১৮ রান তোলে শেখ জামাল। জবাবে ৯ উইকেটে ১৭৮ রান পর্যন্ত পৌঁছে ৪০ রানে হার মানে সিটি ক্লাব।

ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে নেমে সাকিব আউট হন ১৯ রানে। ১৩৫.৭১ স্ট্রাইক রেটে ১৪ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ২ চার। এরপর বোলিংয়ে ৭ ওভারে ৩৯ রান খরচায় ৩ উইকেট ঢোকে তার ঝুলিতে।

আগে নেমে ৭৯ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল শেখ জামাল। এরপর পাল্টা আক্রমণে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৩৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। ফলে বড় পুঁজি মিলে যায় দলটির। দুজনই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। ইয়াসির ৫৭ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৮ রানে আউট হয়ে গেলেও সোহান অপরাজিত থেকে যান। ৬০ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে আসে ৭২ রান।

চলতি আসরে নুরুলের এটি টানা তৃতীয় পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। গত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১০১ রানের আগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৮০ রান করেছিলেন তিনি।

লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই ভয় ধরাতে পারেনি সিটি ক্লাব। যতটুকু সম্ভাবনা টিকেছিল তাদের সেটা শেষ করে দেন সাকিব। ২৩তম ওভারে পরপর দুই ডেলিভারিতে তিনি সাজঘরে পাঠান রাফসান আল মাহমুদ ও অধিনায়ক সাজ্জাদুল হক রিপনকে। ফলে ৯৮ রানেই ৫ উইকেট পড়ে যায় দলটির। এরপর আর নাটকীয় কিছু করে ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি তাদের।

সিটি ক্লাবের কেউই ফিফটি ছুঁতে পারেননি। হয়নি কোনো পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি। শেখ জামালের হয়ে সাকিবের পাশাপাশি ৩ উইকেট নেন রিপন মণ্ডল। ৬ ওভারে তার খরচা ৩৭ রান। ২ উইকেট পান শফিকুল ইসলাম।

চার ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে আছে শেখ জামাল। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে সবকটিতে হারা সিটি ক্লাব এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি। তারা আছে ১২ দলের মধ্যে ১০ নম্বরে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago