পাওয়ার প্লেতেই দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড ১০২ রান
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন কীর্তির জন্ম দিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম দল হিসেবে এই সংস্করণের পাওয়ার প্লেতে একশ রান করার রেকর্ড গড়ল তারা।
রোববার সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ উইকেটে ২৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ড্রিকসের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়াল বিনা উইকেটে ১০২ রান।
টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে আগের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ক্যারিবিয়ানদের। ২০২১ সালে নিজেদের মাঠে অ্যান্টিগায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৯৮ রান তুলেছিল তারা। এদিন তাদের বিপক্ষেই তাণ্ডব চালিয়ে নতুন রেকর্ড গড়ল প্রোটিয়ারা।
বিশাল লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে শুরু থেকেই বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রয়োজনের সেই দাবি দারুণ মেটাচ্ছেন ডি কক ও হেন্ড্রিকস। পাওয়ার প্লের প্রতি ওভারেই কমপক্ষে ১০ রান আনেন তারা। তাদের তোপটা সবচেয়ে বেশি পড়ে বাঁহাতি পেসার শেলডন কটরেলের ওপর। তার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওঠে ২৯ রান! তিন ছক্কা ও এক চার আসে বাঁহাতি ডি ককের ব্যাট থেকে। ডানহাতি হেন্ড্রিকস মারেন এক চার।
৬ ওভার শেষে ডি ককের সংগ্রহ দাঁড়াল অপরাজিত ২৪ বলে অপরাজিত ৬৪ রান। তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ১৫ বলে। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড এটি। তিনি ভাঙেন নিজের কীর্তিই। ২০২০ সালে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি পঞ্চাশে গিয়েছিলেন ১৭ বলে। তার সঙ্গী হেন্ডরিকসের রান ১২ বলে অপরাজিত ৩৫।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারী উইন্ডিজ। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর প্রথম ম্যাচে গতকাল শনিবার ৩ উইকেটে জেতে তারা। ১১ ওভারে নেমে আসা বৃষ্টিবিঘ্নিত টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৩২ রানের লক্ষ্য ৩ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
Comments