বিসিএল

আবু হায়দার-মুশফিককে ছাপিয়ে নায়ক নাসুম

ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

সকালে দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংস টিকল ১০ ওভারের একটু বেশি। মুশফিক হাসান ও আবু হায়দারের তোপে শেষ ৫ উইকেট তারা হারাল মাত্র ৩১ রানে। তবে তিনশ ছাড়ানো লক্ষ্য তাড়ায় সুবিধা করতে পারল না মধ্যাঞ্চল। নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি বোলিংয়ে কুপোকাত হলো তারা।

মঙ্গলবার বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ১১০ রানে জিতেছে দক্ষিণাঞ্চল। আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে, মধ্যাঞ্চল পেয়েছে প্রথম হারের তিক্ত স্বাদ।

চতুর্থ দিনের শুরুতে দক্ষিণাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৭৭ রানে। ফলে ৩০৮ রানের লক্ষ্য পায় মধ্যাঞ্চল। দিন পার করতে পারলেই তাদের মিলত ড্র। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২.৫ ওভারে মাত্র ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় তারা।

৫ উইকেটে ২৪৬ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণাঞ্চল। আগের দিন সেঞ্চুরি করা অমিত হাসান যোগ করতে পারেন কেবল আর ৪ রান। ১১৬ রানে তিনি এলবিডব্লিউ হন মুশফিকের বলে। ২৪৮ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ১৯ চার।

নাসুম খুলতে পারেননি রানের খাতা। তাকে সাজঘরে পাঠান আবু হায়দার। নাহিদুল ইসলামও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। তাকে ফিরিয়ে পঞ্চম শিকার ধরেন মুশফিক। সুমন খান শরিফউল্লাহর বলে আউট হওয়ার পর আব্দুল হালিমকে বিদায় করে দক্ষিণাঞ্চলের ইনিংসের ইতি টানেন আবু হায়দার।

২০ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মুশফিক ৫ উইকেট নেন ৫৪ রানে। ৪ উইকেট দখল করতে বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের খরচা ৭১ রান।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট খোয়ায় মধ্যাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে ৮ রান করা বাঁহাতি ব্যাটার এবার করেন ১৪ বলে ৬ রান। এরপর শুরু হয় বাঁহাতি স্পিনার নাসুমের ভেলকি। নিজের পরপর দুই ওভারে আব্দুল মজিদ ও মোহাম্মদ মিঠুনকে আউট করেন তিনি।

২৭ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর আইচ মোল্লা ধরেন হাল। কিন্তু অন্যপ্রান্তে চলতে থাকে বাকিদের আসা-যাওয়া। জাকের আলি অনিক ও অধিনায়ক শুভাগত হোম ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।

হাফসেঞ্চুরি করা আইচকে বোল্ড করে থামান নাসুমই। ৯৮ বলে ৯ চারে ৫৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মধ্যাঞ্চলের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখন দলের রান ১৪৫। এরপর ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংসের দেখা মিললেও কেউই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি।

আবু হায়দারের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন নাসুম। তার খরচা ৯৪ রান। মধ্যাঞ্চলের প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ৮৪ রানে ৩ উইকেট। তার হাতেই ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

7h ago