হবিগঞ্জে সংঘর্ষ: পুলিশের ২ মামলায় বিএনপির ১৮৭ জন ও  অজ্ঞাতনামা ১৫০০ আসামি

হবিগঞ্জে গতকাল বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১৮৭ নেতাকর্মীসহ প্রায় ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ থানার দুই উপপরিদর্শক এ দুটি মামলা করেন।

হবিগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বদিউজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রোববার বিকেলে রোডমার্চ কর্মসূচি আয়োজন করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। রোডমার্চ শুরু হলে এতে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক খোরসেদ আলম বাদী হয়ে বিএনপির ৯০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০-৬০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।

অপর মামলাটি করেন উপপরিদর্শক ওয়াহেদ গাজী। এ মামলায় বিএনপির ৯৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি ৬০০-৭০০ জন।

মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক জি কে গউছকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে আছেন দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা

(ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে গতকাল বিকেলে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ সময় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমানের দাবি, সংঘর্ষে ওসি অজয় চন্দ্র দেব, সদর থানার উপপরিদর্শক খুরশেদ আলমসহ ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

বিএনপি নেতা জি কে গউছের দাবি, সংঘর্ষে তাদের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অন্তত দেড় শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 
তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার পর স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।'

আহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আউয়াল (৪৩), যুবদলের সদস্য নূর উদ্দিন (৩৫), সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ আমিন (২৮), যুবদল কর্মী সাইমন (২৮) ও লিমনের (২৫) নাম উল্লেখ করেন তিনি। তাদের সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US to make history either way

Kamala Harris and Donald Trump launched a final frenzied campaign blitz yesterday, hitting must-win Pennsylvania on the last day of a volatile US presidential race that polls say is hurtling towards a photo finish.

9h ago