ব্লক রেইড, অজ্ঞাত আসামি ও মৃত মইনুল হোসেনের বাসায় পুলিশ!

সাম্প্রতিক আন্দোলনে রাস্তায়ই নামেননি, এমন অনেককেও ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এগুলোর ব্যাখ্যা কী?

সাম্প্রতিক অস্থিরতার ভেতরে একটি খবর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম রসিকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেটি হলো, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে তার বারিধারার বাসায় গিয়েছিল পুলিশ। ২৯ জুলাই সোমবার দুপুরে একটি মামলার ওয়ারেন্টের কাগজ নিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তার বারিধারার বাসায় যায়। সেই সময় বাসায় পরিবারের কোনো সদস্য ছিলেন না। পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে থাকা কর্মীদের কাছে মইনুল হোসেনের অবস্থান জানতে চায়। তারা জানান, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। তখন পুলিশ সদস্যরা ডেথ সার্টিফিকেট দেখতে চান। এটি দেখানোর পর তারা চলে যান। (প্রথম আলো, ৩১ জুলাই ২০২৪)

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হলে পুলিশের তরফে বলা হয়, একটি মামলায় মইনুল হোসেন আসামি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পুলিশ তার বাসায় গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন যে মারা গেছেন—সেই খবরটি ওই সময় সব গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। অনেক টেলিভিশনের খবরেও দেখানো হয়েছে। তা ছাড়া এখন গণমাধ্যমের বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দ্রুত সব খবর ছড়িয়ে পড়ে।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন দেশের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী; ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে; একটি ইংরেজি দৈনিকের সম্পাদক; বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন এবং সর্বোপরি তিনি ২০০৭ সালে গঠিত বহুল আলোচিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভাবশালী উপদেষ্টা। প্রশ্ন হলো, নানা কারণেই বাংলাদেশের রাজনীতির একজন আলোচিত চরিত্র যে মারা গেছেন, সেই তথ্যটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই? তার মৃত্যুর খবর যে গণমাধ্যমে এসেছে—সেটিও তাদের চোখে পড়েনি? এরকম দুর্বল তথ্য পরিকাঠামো নিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করে নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়?

মৃত মইনুল হোসেনের বাসায় পুলিশ আসলেই কী কারণে গিয়েছিল, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও মৃত মানুষকে মামলার আসামি করার ঘটনা দেশে নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভালো কাজগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। তাদের ওপর অনাস্থা তৈরি হয়। যেমন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল রংপুরের আবু সাঈদ নামে যে তরুণের নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে, তাকে যে পুলিশ গুলি করেছে, সেটি স্পষ্ট এবং তার ভিডিও ফুটেজ থাকার পরেও সাঈদ হত্যা মামলায় আলফি শাহরিয়ার মাহিম নামে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এই কলাম লেখা পর্যন্ত তিনি কারাগারে। কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো? সাঈদের বুকে তিনি গুলি করেছেন? বস্তুত এই ধরনের ঘটনা পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে পুলিশ যে প্রচুর নিরপরাধ লোককে আটক করে এবং নানাভাবে প্রভাবিত হয়ে তারা যে পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত রিপোর্ট দেয় এবং সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিচারক রায় দেন—সেই অভিযোগ নতুন নয়।

সাম্প্রতিক সহিংসতার পরে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। পুলিশ বলছে, নিরপরাধ কাউকে ধরা হচ্ছে না। ফুটেজ দেখে অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও তা-ই বলেছেন। কিন্তু গত ২৯ জুলাই ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে শেয়ার করা একটা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে একজন তরুণকে জোর করে ভ্যানে তুলছে। তার সঙ্গে তার বৃদ্ধা মাও ছিলেন। মা চিৎকার করে বলছেন যে তার ছেলে বাজারে গিয়েছিল। সে এই ভার্সিটিতে পড়ে না। এমনকি ওই তরুণও বারবার পুলিশকে বলছিলেন যে তিনি ওখানকার ছাত্র নন। বাজারে গিয়েছিলেন। হাতে তার একটি ছোট্ট ব্যাগও দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুললো এবং দুয়েকটা অসম্মানজনক শব্দও বললো। তার বৃদ্ধা মা রাস্তায় বসে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন। সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরলেন। প্রশ্ন হলো, ওই তরুণকে পুলিশ কেন ধরে নিয়ে গেল? তিনি কি কোনো মামলার আসামি? ভিডিও ফুটেজে কি দেখা যাচ্ছে যে তিনি বিটিভি ভবন কিংবা মেট্রোরেলের আগুন দিচ্ছেন?

পুলিশের দাবি, নিরপরাধ কাউকে ধরা হচ্ছে না। অথচ ৩১ জুলাই প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে, ২৯ জুলাই সোমবার দুপুর থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩০৩ জনকে নতুন করে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সব মিলিয়ে ১৪ দিনে সারা দেশে মোট ১০ হাজার ৪৩১ জন গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।

আরেকটি খবরে বলা হচ্ছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ঢাকায় ২৭০টি মামলায় যে দুই হাজার ৮৯১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই হাজার ২৮৪ জনেরই কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, যা মোট গ্রেপ্তারের ৮৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ। অর্থাৎ কোনো দলের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বেশিরভাগই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ। অথচ সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে, নাশকতা করেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। যদি তাই হয় তাহলে তো গ্রেপ্তারকৃতদের ৮৭ শতাংশ অরাজনৈতিক নয় বরং বিএনপির জামায়াতেরই লোক হওয়ার কথা। এই প্রশ্নের উত্তর কী?

২৯ জুলাই দ্য ডেইলি স্টার বাংলার সংবাদ শিরোনাম—'কোটা আন্দোলন: ঢাকায় আসামি ২ লাখের বেশি'। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয়েছে প্রায় ২০০ মামলা। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে, যাদের অধিকাংশই অজ্ঞাত। প্রায় সব মামলাই পুলিশের দায়ের করা।

প্রশ্ন হলো, যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শুধু রাজধানী ঢাকাতেই কী করে দুই লাখ মানুষ আসামি হয়? দুই লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে তাণ্ডব চালিয়েছে? একই দিন কালের কণ্ঠের খবরে বলা হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে পাশের কর্ণকাঠী গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর। আন্দোলনের সময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কর্ণকাঠীর যুবকরা।

কেন একটি পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হবে? ওই গ্রামের সব পুরুষ কি অপরাধী? সবাই কি নাশকতাকারী? কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় অনেকে রাস্তায় নেমেছিলেন বলে শোনা গেছে। কিন্তু তারা কি কোথাও নাশকতা করেছেন? ওখানে কোনো রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আগুন দিয়েছেন? তাহলে কেন গণহারে গ্রেপ্তার বা আটক করা হবে? কেন পুলিশের ভয়ে একটি পুরো গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে যাবে? কেন তাদেরকে দিনের পর দিন পালিয়ে থাকতে হবে?

অবশ্য গ্রাম পুরুষশূন্য হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে পুলিশের গ্রেপ্তার ও আটক এড়াতে কোনো কোনো গ্রাম শুধু নয়, পুরো একটি এলাকাই পুরুষশূন্য হয়ে গেছে। কেন এমনটি হবে? মানুষ কেন পুলিশকে এভাবে ভয় পাবে? যে অপরাধী সে হয়তো পালানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু যে অপরাধী নয়, তাকে পালাতে হবে কেন? এর সহজ উত্তর হলো, নিরপরাধ লোককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও তাকে ছাড়িয়ে আনতে ঘুষ দিতে হয়। না হলে পুলিশ কোর্টে চালান করে দেয় এবং তারপর আদালতের বারান্দা ও জেলখানার গেটে আসতে যেতে তার পরিবারের জীবন জেরবার হয়ে যায়। বিত্তশালী না হলে মামলা চালাতে গিয়ে অসংখ্য মানুষকে জমিজমা বিক্রি করতে হয়। মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে হয়। অর্থাৎ পুলিশ, আদালত ও জেলখানার এই ভীতির কারণে নিরপরাধ লোকও পালিয়ে বেড়ায়।

হয়তো আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে তিনি একসময় বেরিয়ে আসবেন। কিন্তু ততদিনে তার জীবন থেকে চলে যাবে অনেকগুলো সময়। তার পরিবারের সদস্যরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সামাজিকভাবে তারা চাপে পড়বেন। কেননা একজন নিরপরাধ লোককেও যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, তখন তার আত্মীয় প্রতিবেশী ও সমাজের লোকেরা ধরেই নেয় যে, নিশ্চয়ই তিনি কোনো অন্যায় করেছেন। না হলে পুলিশ কেন ধরে নিয়ে গেল? এই সামাজিক চাপ ওই পরিবারকে দীর্ঘদিন বহন করতে হয়। রাষ্ট্র এই যন্ত্রণার কোনো ক্ষতিপূরণ দেয় না। দিতে পারে না। যে নিরপরাধ লোকটি মাসের পর মাস জেল খেটে নিরপরাধ প্রমাণিত হয়ে বের হলেন—তাকে রাষ্ট্র কোনা ক্ষতিপূরণ দেয় না। এমনকি যে পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনীর লোকেরা তাকে ধরে নিয়ে গেল, তাদেরও কোনো বিচার হয় না। অর্থাৎ নিরপরাধ লোককে ধরে নিয়ে যাওয়ার কোনো শাস্তি নেই। নেই বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মানুষ ভয় পায়।

ব্লক রেইডের নামে সাম্প্রতিক গণগ্রেপ্তার, আটক তথা ধরপাকড়ে প্রধানত যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা যে আন্দোলনটি পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নিল, সেখানে সহিংসতার জন্য দায়ী লোকের সংখ্যা কত? তাদের মধ্যে শিক্ষার্থী কতজন?

সরকারের তরফে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে যে, শিক্ষার্থীরা সহিংসতার জন্য দায়ী নয়। বরং এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। তাহলে শিক্ষার্থীদের কেন ধরা হলো বা এখনো কেন অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হচ্ছে?

দ্বিতীয় প্রশ্ন, পুলিশ যদি ভিডিও ফুটেজ দেখেই অপরাধীদের ধরে, তাহলে রাস্তাঘাটে ধরপাকড়ের যেসব দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তার ব্যাখ্যা কী? কেন যাকে-তাকে জোর করে ভ্যানে তোলা হচ্ছে? ২০-২৫ বছরের তরুণ মানেই সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী মানেই সে নাশকতাকারী? এরকম একটি সরলীকরণের চেষ্টা চলছে কি না? সাম্প্রতিক আন্দোলনে রাস্তায়ই নামেননি, এমন অনেককেও ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এগুলোর ব্যাখ্যা কী?

তৃতীয় প্রশ্ন, পুলিশ আসলে কত লোককে ধরতে চায় এবং এত লোককে ধরে তারা কোথায় রাখবে? বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দেশের কারাগারগুলোয় ধারণক্ষমতার অনেক বেশি বন্দি রয়েছেন। সেখানে ঘুমানো, টয়লেট, গোসল ইত্যাদি জরুরি ও মানবিক প্রয়োজনগুলো মেটাতে গিয়ে এক ধরনের মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়। তার ওপর এখন যেভাবে হাজারো লোককে ধরা হচ্ছে, তাদেরকে কোথায় রাখা হবে? থানা হাজতে বেশি লোক কিংবা ধরার পরে বেশি সময় সেখানে কাউকে রাখার নিয়ম নেই। বরং গ্রেপ্তার ও আটক সবাইকে আদালতে পাঠাতে হবে। আদালত মুক্তি বা জামিন না দিলে তাদের গন্তব্য কারাগার।

প্রশ্ন হলো, কারাগারে এত জায়গা আছে? তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, অপরাধী ধরতে গিয়ে কতজন নিরপরাধ মানুষকে ধরা হচ্ছে এবং যে নিরপরাধ মানুষগুলোকে ধরা হচ্ছে, তারা কবে মুক্তি পাবেন? আদালতের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাদের জীবন থেকে যে মূল্যবান সময়গুলো চলে যাবে; তার যে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি হবে; পরিবারের লোকজন আর্থিক ও সামাজিকভাবে যে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন; পরিবারের ছোট সন্তানদের মনে যে ভীতি ও আতঙ্ক তৈরি হবে—এগুলোর ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে? এসবের ক্ষতিপূরণ কি আদৌ দেওয়া সম্ভব?

সাম্প্রতিক সহিংসতায় কত লোক নিহত হলেন—সেটি সবার কাছে একটি সংখ্যামাত্র। কিন্তু যার সন্তান মরে গেছে, যার ভাই মরে গেছে, যার বোন মরে গেছে—তার কাছে নিহতের সংখ্যা ১০০, ২০০ কিংবা ৩০০ কোনো পরিসংখ্যান নয়। তার কাছে একটি মৃত্যুই পাহাড়সমান। কোনো ক্ষতিপূরণেই এই মৃত্যুর ক্ষত সারানো সম্ভব নয়।

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক

Comments