ক্ষুধাকে অস্ত্র বানিয়েছে ইসরায়েল, গাজা এখন উন্মুক্ত কবরস্থান

এবার ভাবুন, ঢাকার উত্তরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হলো দক্ষিণে চলে যেতে। এরপর সেখানে রাতদিন নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো হলো।
গাজা এখন উন্মুক্ত কবরস্থান
খাদ্য সংকটে থাকা ফিলিস্তিনিরা বিনামূল্যে খাবার পেতে গত ১৯ মার্চ উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়ায় জড়ো হয়। ছবি: রয়টার্স

ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবিক ত্রাণ সম্মেলন উদ্বোধনের সময় গত ১৭ মার্চ ইইউর বৈদেশিক নীতিমালা বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেলের বক্তব্য থেকে এই লেখার শিরোনামটি নেওয়া হয়েছে। তিনি সেদিন বলেছিলেন, 'গাজা এখন আর দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে নেই, বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ চলছে এবং হাজারো মানুষ এর ভুক্তভোগী।'

ইইউ অভিযোগ এনেছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এখন ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তার সমন্বিত ও পর্যায়ভিত্তিক শ্রেণিকরণ প্রতিবেদনে সাধারণত দুর্ভিক্ষের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ভিক্ষের তিন মানদণ্ডের দুটি ইতোমধ্যে পূরণ করেছে গাজার পরিস্থিতি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় মানদণ্ড, অর্থাৎ অনাহারে মৃতের সংখ্যাও ইতোমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে বলেই তারা বিশ্বাস করেন। সাড়ে ১৩ হাজার শিশুসহ ৩২ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বাকিদের অনাহারে রেখে মেরে ফেলা হচ্ছে। তাদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, তারা হয়তো আর কখনোই সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না।

বিশ্বে বৈষম্য, শোষণ, দমন ও হত্যার ভুরিভুরি উদাহরণ থাকলেও ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, এমন নজির আর নেই। হলোকাস্টের সময় নাৎসিরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের আচরণ করেছিল, সেটাই হয়তো এর একমাত্র তুলনা হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। গাজাবাসীদের সঙ্গে ইসরায়েলিরা যা করছে, তার সঙ্গে হলোকাস্টের পার্থক্য কী?

গাজায় যা ঘটছে, তার চিত্র একটিবার মনের মধ্যে এঁকে দেখুন। গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। ঢাকার আয়তন ৩০৬ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার হওয়ায় এর মাধ্যমে গাজার আয়তনের একটা তুলনামূলক আকার ধারণা করে নেওয়া সম্ভব, যদিও জনসংখ্যার তারতম্য অনেক।

এবার ভাবুন, ঢাকার উত্তরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলা হলো দক্ষিণে চলে যেতে। এরপর সেখানে রাতদিন নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো হলো।

কল্পনা করুন, ঢাকার উত্তরের প্রায় সব ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দক্ষিণেও অর্ধেকের বেশি ভবন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো বাকি রয়েছে, সেগুলোও নিরাপদ না। সড়কগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী। বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই। চারদিকে যতদূর চোখ যায় কেবল ধ্বংসস্তূপ, আর সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা লাশের গন্ধে বাতাস ভারী।

 

ভেবে দেখুন, বোমা হামলা থেকে বেঁচে গেলেও যারা ধসে পড়া দালানের নিচে আটকে ছিলেন, তারাও একে একে মারা পড়লেন। শুরুতে চিৎকার, কান্নাকাটি, তারপর দালানের বাইরে থাকা প্রিয়জনদের কাছে নিজের শেষ শক্তিটুকু দিয়ে ফিসফিস করে জানানো বাঁচার আকুতি। এসব শুনেও সেই প্রিয়জনরা সরঞ্জামের অভাবে ভাঙা দালান সরিয়ে বের করে আনতে পারেননি কাউকেই। চোখের সামনে তারা দেখছেন ভালোবাসার মানুষগুলো একটু পানি চাইতে চাইতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। কিন্তু তারা কিছুই করতে পারছেন না।

এমন অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পর কারো পক্ষে কি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব? অথচ, গাজাবাসীর জন্য এটাই বাস্তবতা—যা ক্রমশ আরও খারাপ হচ্ছে—আর এই বাস্তবতার সঙ্গে গাজার প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।

আরেকটু কল্পনা করুন, ঢাকার সব হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন হামাস-সমর্থক হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভেবে দেখুন, পুরো ঢাকায় কোনো হাসপাতাল নেই যেখানে কোনো ধরনের চিকিৎসা পাওয়া যাবে। কোনো হাসপাতালে ওষুধ নেই, চিকিৎসা উপকরণ নেই। আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার কোনো উপায় নেই। প্রিয়জনের কোলেই বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে তারা।

ভাবুন যে খাদ্য, পানি ও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া রয়েছে।

কয়েক সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার পর সামান্য পরিমাণ খাদ্য ও নিত্যপণ্য প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। যখন অভুক্ত ফিলিস্তিনিরা এই সামান্য খাবার সংগ্রহের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াল, তখন তাদের ওপর গুলি চালানো হলো।

এই ঘটনাটি বাংলাদেশি গণমাধ্যমে বড় আকারে প্রচারিত হয়নি—২৯ ফেব্রুয়ারি গাজার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে আটা ও পানির জন্য অপেক্ষমাণ ১১৫ জন অভুক্ত ফিলিস্তিনিকে নৃশংসভাবে মেশিনগান দিয়ে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা।

জনপ্রিয় মার্কিন ধারাভাষ্যকার জর্জ অ্যান্ড্রু নাপোলিটানা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জেফরি স্যাকসকে এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'এটা সবচেয়ে জঘন্য ও ন্যক্কারজনক গণহত্যা, যা তারা (ইসরায়েলি সৈন্য) ঘটিয়েছে।' খাবারের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হলো—তাদের বর্বরতার মাত্রাটা একবার বিবেচনা করে দেখুন।

ইসরায়েলিদের যে বক্তব্যটি পশ্চিমের বেশিরভাগ দেশ ও গণমাধ্যম মেনে নিয়েছে সেটি হলো, খাবারের জন্য অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনিরা এক পর্যায়ে দাঙ্গা শুরু করে এবং যখন বিষয়টি ইসরায়েলি সেনাদের কাছে হুমকি বলে মনে হয়েছে, তখন তারা গুলি চালাতে শুরু করে।

এটা কি কোনোভাবে সম্ভব যে এই খাবারের খোঁজে আসা ক্ষুধার্ত-দুর্বল মানুষগুলো হঠাৎ করেই বলিষ্ঠ ও সংঘবদ্ধ হয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত, সুরক্ষিত ও উচ্চ নিরাপত্তার মধ্যে নিরাপদ বাংকারে থাকা সেনাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল? সুপ্রতিষ্ঠিত পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো এই অসমর্থিত ও অসত্য গল্পকে বাতিল করে না দিয়ে বরং গ্রহণযোগ্যতা দেয়।

গত রোববার ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই সংঘাত শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল সিবিএস নিউজকে জানান, শিশু মৃত্যু 'সীমা ছাড়িয়ে গেছে' এবং এটা 'ভয়াবহ'। অসংখ্য শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, যাদের 'কান্না করার মতো শক্তিও অবশিষ্ট নেই'। তিনি বলেছেন, কীভাবে হাজারো শিশু আহত হয়েছে। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারে। হাজারো শিশু তাদের বাবা-মাকে হারিয়েছে। তারা এখন আত্মনির্ভরশীল হয়ে ছোট ভাই-বোনের দেখাশোনা করতে বাধ্য হয়েছে।

ড. জেফরি স্যাকস বলেন, 'ইসরায়েল জেনে-বুঝে গাজার মানুষকে অনাহারে রেখেছে। না খাইয়ে রাখছে। আমি একেবারেই বাড়িয়ে বলছি না। একটি পুরো জনগোষ্ঠীকে খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইসরায়েল ক্রিমিনাল, নিরবচ্ছিন্ন যুদ্ধাপরাধ করে যাচ্ছে। এটা গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে।'

মিশর ও গাজা সীমান্তের একটি ছোট্ট শহর রাফার কথাই ধরুন। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষের মধ্যে ১৫ লাখই সেখানে জড়ো হয়েছেন। ১৫ মার্চ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে এবং ১৭ মার্চ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, আন্তর্জাতিক মহল থেকে যত চাপই আসুক না কেন, তিনি পিছু হটবেন না।

রাফায় স্থল অভিযানের মানে কী? আবারও ঢাকার উদাহরণ দেওয়া যাক। শহরের কোনো এক কোণায় ১৫ লাখ অসহায়, গৃহহীন, অভুক্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করবে এমন এক বাহিনী, যারা বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস সেনাবাহিনীর অন্যতম। বলাই বাহুল্য, বিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে তাদের ওপর বৃষ্টির মতো প্রাণঘাতী বোমাও বর্ষণ করা হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিও, লন্ডন, ড্রেসডেন ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার গ্রামগুলোতে বোমাবর্ষণ ও তার পরবর্তী দৃশ্যগুলো আমাদের মনে পড়ে যায়। কিন্তু সেগুলো ছিল যুদ্ধ এবং দুই বা ততোধিক সার্বভৌম দেশ অথবা সুপ্রতিষ্ঠিত গেরিলা সংগঠনের মধ্যে সেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়। সেগুলো এমন ছিল না যে, একটি পক্ষ বেসামরিক ও নিরস্ত্র এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছে অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত একটি দেশ।

শুরুতে গাজায় নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও হামলা হয়েছে। আর এখন শুরু হতে যাচ্ছে রাফার ১৫ লাখ অরক্ষিত শরণার্থীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত স্থলহামলা। এটা গণহত্যা ছাড়া আর কিছুই না, যার মাধ্যমে গাজা বিশ্বের সবচেয়ে বড় কবরস্থানে পরিণত হবে। এই হামলা পরিচালনা করবে এমন সব সেনারা, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি মোটেই সংবেদনশীল নয়। তাদের শেখানো হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মানুষ হিসেবেই বিবেচনা না করতে। তাদের শেখানো হয়েছে, ফিলিস্তিনিরা এমনই এক নিম্নগোত্রের প্রাণী, যারা মানুষ হিসেবে ন্যূনতম সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয়।

এখনো কি বিশ্ববাসী শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকবে, আর গৎবাঁধা কিছু বুলি আউড়ে যাবে? যখন সভ্যতার পরিচয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সব ধরনের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও আদর্শকে নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু সরকার ভূলুণ্ঠিত করতে থাকবে, আমরা কি তখনো নিশ্চুপ থাকব?

দক্ষিণ আফ্রিকা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। দেশটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে মামলা করেছে। আমরা দেখছি, দক্ষিণ আমেরিকার মতো দূরবর্তী দেশে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। দেখছি, ইউরোপের অসংখ্য দেশের রাজধানীতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ। কিন্তু আফ্রিকা, এশিয়া, তথা দক্ষিণ এশিয়ায় তেমন কোনো বিক্ষোভ দেখি না।

আরব দেশগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে হতাশাজনক। ফিলিস্তিনিরাও তো আরব। আরব দেশগুলোর উঠানেই এসব ঘটনা ঘটছে এবং তা ঘটছে দীর্ঘদিন ধরেই। ইতিহাস পরিষ্কার। বছরের পর বছর আরব দেশগুলোর প্রভাব কমেছে, কিন্তু ইসরায়েলের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোই উল্টো—তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো আর কেউ নেই।

যুদ্ধ নয়, কেবল আলোচনার মাধ্যমেই আসবে সমাধান। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আরব দেশগুলো তাদের আলোচনা ও দরকষাকষির সক্ষমতা হারাচ্ছে। ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনিদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত আচরণ চালিয়ে যায়, তাহলে আরব দেশগুলোর সম্মান কোথায় থাকে?

আমাদের ওপরও একই প্রশ্ন আসে। কেন আমরা ইসরায়েলের এসব কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে বড় আকারে বিক্ষোভ করিনি? ফিলিস্তিনিদের প্রতি, গাজার মানুষের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা এমন সংযত কেন?

একজন রাজনৈতিক নেতা ও সরকার প্রধান হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী গাজা প্রসঙ্গে কিছু অত্যন্ত সাহসী বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, লেখক ও শিল্পীরা কেন বলিষ্ঠ কণ্ঠে এর প্রতিবাদ করছেন না? শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরুণদের এর প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে, যার জন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা কেবল কতগুলো সংবাদ প্রকাশ করেই দায় সারছি, আমরাও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছি না।

এক একজন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল তার বৈধতা হারাচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নৈতিক অবস্থান হারাচ্ছে এবং আমরা যারা চুপ করে দেখছি, তারা হারাচ্ছি মানবতাবোধ।

মাহফুজ আনাম: সম্পাদক ও প্রকাশক, দ্য ডেইলি স্টার

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments