স্ত্রী নির্যাতনে বাংলাদেশের চিত্র আফগানিস্তানের চেয়ে কতটা আলাদা

‘মেয়ের কথা মনে পড়লে আমি আর দুনিয়ার কথা ভুলে যাই। আমি তো জীবিত থেকেও মরে আছি।’

তালেবানরা ২০২১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর আগের সরকারের সময়কার বিবাহবিচ্ছেদের আদেশ বাতিল করছে। স্ত্রীদের বিবাহবিচ্ছেদ বাতিল করার পর আবার তাদের সেই অপমানের সম্পর্কে ফিরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। বিবাহবিচ্ছেদের আদেশ বাতিল হওয়ায় মারওয়াকেও ফিরতে হয়েছে স্বামীর ঘরে। এবার মারতে মারতে তার সব দাঁত ও হাতের আঙুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মারওয়ার স্বামীর এক কথা, 'তুমি স্ত্রী, মেরে ফেললেও তোমার বিচ্ছেদের অধিকার নেই।'

আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘ মিশনের তথ্যমতে, দেশটিতে প্রতি ১০ নারীর মধ্যে ৯ জন স্বামীর হাতে শারীরিক, যৌন বা মানসিক নির্যাতনের শিকার। এখনো সেখানে বিবাহবিচ্ছেদকে খারাপ চোখে দেখা হয়। সেখানকার সমাজে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীদের 'ক্ষমার অযোগ্য' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এবার আসি বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। এখানে নাজমা বেগম পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন। গত ১৭ বছরে নিজের ২ মেয়ে ও নাতনিকেও একইভাবে পারিবারিক সহিংসতা শিকার হতে দেখেছেন। যৌতুক দিতে না পারায় তার ১৬ বছরের মেয়ে সামিনাকে ২০০৫ সালের ৭ জুন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুড়িয়ে হত্যা করেছে। 'মেয়ের কথা মনে পড়লে আমি আর দুনিয়ার কথা ভুলে যাই। আমি তো জীবিত থেকেও মরে আছি', বলেন নাজমা।

আফগানিস্তানে না হয় তালেবানি শাসনে চলছে, সেখানকার পুরুষরা অমানবিক ও নারী স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। কিন্তু নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র কি ভিন্ন কিছু বলছে আমাদের? বাংলাদেশে গৃহপরিসরে নির্যাতিত নারীর সংখ্যা যেমন অসংখ্য, বিচার পাওয়ার হার ঠিক তেমনিই কম। অথচ বাংলাদেশে নারী সুরক্ষায় কঠোর আইন আছে। নারীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নও বেড়েছে, শ্রমবাজারে নারীর প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে, বড় বড় পদে নারী আসীন হয়েছেন এবং ব্যবসা করছেন। এতকিছুর পরেও দেশে নারী নির্যাতন কমছে না।

দেশে ৮২ শতাংশ নারী বিবাহিত জীবনে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে স্বামীর মাধ্যমে জীবনের কোনো না কোনো সময়ে তারা যৌন, শারীরিক, অর্থনৈতিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তবে সামাজিক মর্যাদা ও নতুন করে নির্যাতনের ভয়ে মুখ খুলেন না নির্যাতিত এসব নারী। নির্যাতনের ঘটনাকে পরিবারের বিষয় হিসেবে মনে করেন তারা। (ব্র্যাকের প্রতিবেদন, ২০১৭)

নির্যাতনের শিকার নারীদের মধ্যে ১৭ শতাংশ অবিবাহিত। যৌতুকের দাবিতেই শতকরা ৩২ ভাগ নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। পারিবারিক সহিংসতার শিকার ২৪ শতাংশ।

এ ছাড়া বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, যৌন উদ্দেশ্য, যৌন ইচ্ছা চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া, অনিয়ন্ত্রিত ক্রোধ ইত্যাদি কারণেও নারী সহিংসতার শিকার হচ্ছে। জরিপে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া শতকরা ৬৬ ভাগ নারী বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে ২০২২ সালে এসেও এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। অনেক ইতিবাচক অর্জন সত্ত্বেও দেশে শতকরা ৫১ জন মেয়ের ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়েদের মধ্যে শতকরা ২৩ দশমিক ৮ জন মেয়ে শারীরিকভাবে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হন।

বিশ্বের যেসব দেশে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার বেশি, সেসব দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে অবস্থান বাংলাদেশের। দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনো না কখনো সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০০)

এই খবরটি দেখে একটুও বিস্মিত হইনি। কারণ সমাজের চারিদিকে চোখ মেললেই দেখতে পাই নারীকে খুবই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হয়। ঘরের বউকে মনে করা হয় নিজের সম্পত্তি। আর নিজের সম্পত্তি ইচ্ছামতো ব্যবহারের স্বাধীনতা তো রয়েছেই। বাংলাদেশের অধিকাংশ পুরুষ মনে করেন বউকে মেরে বা মানসিক অত্যাচার করে তারা কোনো অন্যায় করেননি এবং তারা এজন্য লজ্জিতও নন।

যেখানে দেশের শহর ও গ্রামের শতকরা ৬৩ ভাগ পুরুষ এখনো মনে করেন 'সহবাসে রাজি না হলে বউকে মারাটা জায়েজ', সেখানে স্ত্রী যে নির্যাতিত হবেন, সেটা সহজেই অনুমেয়। (ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের করা জরিপ)

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ নারীই বলেছেন তারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর জোরজবরদস্তির কারণেই যৌন মিলনে বাধ্য হন। অন্যদিকে নির্যাতিত শিশু ও নারীর বাবা-মায়েরা বলেছেন, এই বিষয়ে তারা কোনো কথা শুনতে চান না। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সবই বৈধ, এমনকি মারধরও।

কেন পুরুষ স্ত্রীকে মারধর করে? আমরা দেখেছি এই 'কেন'র কোনো উত্তর নেই। ভাত দিতে দেরি হলে, হাতের কাছে জিনিস খুঁজে না পেলে, পরপর ২টি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলে, সারাদিন রান্নার পর শরীরে তেল-মশলার গন্ধ পেলে, খেটে-খাওয়া নারী সময়মতো মজুরি না পেলে, 'প্রভু' স্বামী ঘুমানোর সময় শিশু কাঁদলে, স্বামীর চাহিদামতো সহবাসে রাজি না হলে, স্বামীর অন্যত্র প্রেম থাকলে, ঘরে ময়লা থাকলে, কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতে দেরি হলে, নিজের অর্জিত টাকা স্বামীর হতে পুরোটা তুলে না দেওয়াসহ এরকম আরও অনেক তুচ্ছ কারণে স্ত্রীকে মার খেতে হয়।

স্বামীর কাছে মারধরের শিকার হয়ে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত নারীরা নানা ধরনের আইনি পরামর্শ নেওয়ার পরও কোনোটাই কাজে লাগাতে পারেন না। সমাজ কী বলবে, এই 'লজ্জাবোধ' থেকে তারা কোনো মামলা করেননি। শিক্ষিত নারীর এরকম নিগ্রহের শত শত উদাহরণ আছে।

গ্রামের নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিত নারীর অবস্থা আরও করুণ। তাদের অধিকাংশ মনে করেন, স্বামী ভাত দেয়, তাই মারতেও পারে। এ ছাড়া সহবাসে তুষ্ট না হলে, শিশুর দেখাশোনায় ত্রুটি হলে, স্বামীকে না বলে বাইরে গেলে এবং মুখে মুখে তর্ক করলে স্বামী পেটাতে পারে। এটা স্বামীর অধিকার। তারা অনেকেই বিশ্বাস করে নারীর অবস্থান অধস্তন, কাজেই মার খাওয়াটাও জায়েজ। গ্রামের সাধারণ নারী দরিদ্র, অসহায়, আশ্রয়হীন, অসচেতন। কাজেই তাদের মুখ, হাত-পা বাঁধা। কিন্তু শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরাও তো পড়ে পড়ে মার খাচ্ছেন, শুধুমাত্র পরিবার টিকিয়ে রাখা, সন্তানের লালনপালন ও লোকলজ্জার ভয়ে।

প্রশ্ন উঠতেই পারে— কোন পুরুষ তার স্ত্রী বা সঙ্গীকে মারেন? যারা বউ পেটান, তাদের কি আলাদা কোনো চেহারা আছে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, না বউকে মারার জন্য ভিন্ন কোনো চেহারা লাগে না। যেকোনো সমাজের, যেকোনো অর্থনৈতিক অবস্থার পুরুষ এটা করে থাকে। শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক। ক্ষমতা প্রদর্শন, অধিকারবোধ, আগ্রাসী মানসিকতা, হীনমন্যতা, ব্যর্থতা, অস্থিরতা, মাদক গ্রহণ ও আধিপত্যবাদী মন থেকে পুরুষ মারধর করেন।

এরপরে আমরা ভাবি যে, স্বামী এতটা অত্যাচারী হওয়া সত্ত্বেও কেন নারী তাকে ছেড়ে যায় না? কারো কারো সামনে আর কোনো উপায় থাকে না। আবার অর্থনৈতিক ও আবেগের কারণে নারীর বুঝতেও সময় লেগে যায় যে অত্যাচারী স্বামীকে তার ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। যারা মারধর করে, সেই স্বামীও স্ত্রীকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। এ ছাড়া নারীর সহ্য করার মানসিকতা, তাকে আরও বেশি নাজুক করে তোলে এবং তার আত্মবিশ্বাসও একদম নষ্ট করে দেওয়া হয়। নারীকে সমাজ ভাবতে শেখায়, স্বামী ছাড়া সমাজে নারীর কোনো মূল্য নেই।

এদিকে স্ত্রীকে পেটানোর তালিকায় বাংলাদেশ ৪ নম্বর হলেও, নির্যাতিত নারী বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও পিছিয়ে গেছেন। সম্প্রতি ব্র্যাকের আরেকটি জরিপে বলা হয়েছে, ৩ বছর ধরে সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা কমছে। অত্যন্ত আশার কথা মনে হলেও ব্যাপারটি কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। নির্যাতনের শিকার নারী ও আইনজীবীরা বলছেন, নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও অনেক সময় তা মামলা হিসেবে নেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে সালিস করে অভিযোগ মীমাংসা করে দেওয়া হচ্ছে।

প্রভাবশালীদের চাপ উপেক্ষা করে মামলা করা হলেও বিচার শুরুর আগেই বেশিরভাগ আসামি মুক্তি পাচ্ছে। বিচারে দেরি, জামিনে মুক্তি পেয়ে হুমকি, সালিসে মীমাংসা করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া, রাজনৈতিক আশ্রয় এবং দুর্বল আর্থিক অবস্থার কারণে বাদীরা মামলা থেকে পিছু হটছেন।

এতকিছুর পরেও, রায়ের পর সাজা পাচ্ছে মাত্র অল্প কয়েকজন। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার মাত্র ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কাজেই আমাদের দেশে নারীর অধিকার সুরক্ষায় অনেক আইন থাকলেও নারী নির্যাতন, নিপীড়ন ও নারীর প্রতি বিচারহীনতার পরিমাণ কোনোভাবেই কম নয়। অপরাধীরা ফাঁক গলে বের হয়ে যায় বলে অপরাধ না কমে উল্টো বেড়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়া এ কথাও ঠিক যে বাংলাদেশে নারীদের অনেকেই এখনো মনে করেন একসময় তাদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য তাদের ভাগ্য দায়ী। শুধু যে দরিদ্র পরিবারের অসহায় নারীরাই এ কথা মনে করেন, তা নয়। অবস্থাপন্ন পরিবারের শিক্ষিত নারীও এ কথা বিশ্বাস করেন। তারা তাদের সঙ্গে ঘটা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না। যেহেতু বিচার পাওয়ার হার কম, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, বিচার পেতে গেলে অনেক ঝামেলা এবং টাকা-পয়সার দরকার হয়, তাই নারীরা বিচারের দাবি জানাতে ভয় পান। অধিকাংশ নারী পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও তেমন কোনো সমর্থন ও সহযোগিতা পান না।

দেশে পারিবারিক নির্যাতন রোধে সুনির্দিষ্ট আইন থাকলেও আইনের ব্যবহার না থাকা এবং সাধারণ মানুষের এ সংক্রান্ত অজ্ঞতার কারণে পারিবারিক নির্যাতনের মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছে। নারীকে সাপোর্ট দিতে হবে, যেন নারী প্রতিবাদ করার সুযোগ পান, ভয় দূর করতে পারেন। আর সরকারকেই প্রথমে বড় ধরনের নারী নির্যাতন-বিরোধী কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে পাবলিক প্রসিকিউশন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা দরকার বলে মনে করেন নারী বিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞরা। অথচ দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও নারী নির্যাতন বাড়লেও অর্থনৈতিক সংকটে কাটছাঁটে পড়েছে নারী-বিষয়ক প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলো। কিন্তু আমরা দেখছি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারী ও মেয়েশিশুদের অধিকাংশই তাদের সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের বিচার চাইতেই অক্ষম।

এ ছাড়াও নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ নিশ্চিত করতে বিচারকাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য জেন্ডার সংবেদনশীলতা প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক প্রেক্ষাপট তৈরির বড় কাজটি করে মহিলা ও শিশু-বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অথচ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রমে মন্ত্রণালয়ের বাজেট গত ৬ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম। তাদের বাজেট কমেছে ৬৩ শতাংশ।

এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আমরা যতগুলো ইতিবাচক পরিবর্তনই দেখাই না কেন, স্বামীর হাতে স্ত্রীর এই নির্যাতনের মাত্রা সব অর্জনকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেয়। নারী নির্যাতনের হার ও আইন থাকা সত্ত্বেও নারীর বিচার না পাওয়ার হার আমাদের সামাজিক ও মানবিক পরিস্থিতিকে আফগানিস্তানের পাশে এনে দাঁড় করিয়েছে। এই বিচারহীনতা শুধু নারীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের হিসাব বা মাত্রা নয়, এর চাইতে আরও বেশি। এটা এক ধরনের অপরাধ।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments