ফিফার বর্ষসেরা তারকা মদ্রিচ

ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় লুকা মদ্রিচ

গত এক দশক ধরেই ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার জিতে আসছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। অবশেষে সে বৃত্ত ভাঙলেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও মোহাম্মদ সালাহকে পেছনে ফেলে এ পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। প্রথম ক্রোয়েশিয়ান হিসেবে এ পুরষ্কার জিতে নিলেন এ রিয়াল তারকা।

সোমবার লন্ডনে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে ছিলেন না রোনালদো ও লিওনেল মেসি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় না থাকায় মেসি থাকছেন না আগেই নিশ্চিত ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত ছিলেন না রোনালদোও। তারপরও অনুষ্ঠানের জমক একটুও কমেনি। আগ্রহ ছিল কে হবেন ফিফার বর্ষসেরা তারকা? অনুমিত ভাবেই তা জিতে নিয়েছেন মদ্রিচ।

গত মৌসুমে দুর্দান্ত খেলেছেন মদ্রিচ। বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলেছেন। জিতেছিলেন গোল্ডেন বলও। আর ইউরোপিয়ান ফুটবলেও রিয়ালের হয়ে দারুণ সাফল্য ছিল তার। টানা তৃতীয় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন এ ক্রোয়েশিয়ান।

মেয়েদের বর্ষসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তা। বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী কোচ দিদিয়ের দেশম। বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা বেলজিয়ামের থিবো কর্তোয়া। তবে রোনালদো ও গ্যারেথ বেলের বাইসাইকেল কিককে টপকে বর্ষসেরা গোলের পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ।

বর্ষসেরা গোলরক্ষক কর্তোয়া হলেও ফিফা বর্ষসেরা একাদশে জায়গা হয়নি তার। জায়গা হয়নি সেরা তিনে থাকা লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহরও। এছাড়া পিএসজির ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারও জায়গা পাননি।

ফিফা বর্ষসেরা একাদশ: দাভিদ দি গিয়া (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/স্পেন), দানি আলভেস (পিএসজি/ব্রাজিল), রাফায়েল ভারানে (রিয়াল মাদ্রিদ/ফ্রান্স), সের্জিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ/স্পেন), মার্সেলো ভিয়েরা (রিয়াল মাদ্রিদ/ব্রাজিল), এনগোলো কান্তে (চেলসি/ফ্রান্স), লুকা মদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ/ক্রোয়েশিয়া), এডেন হ্যাজার্ড (চেলসি/বেলজিয়াম), কিলিয়ান এমবাপে (পিএসজি/ফ্রান্স), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা/আর্জেন্টিনা) ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস/পর্তুগাল)।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

7h ago