মুশফিকের প্রশ্নবিদ্ধ রানআউট
বিপর্যয় সামলে ব্যাট করতে থাকা মুশফিকুর রহিমের রান আউট নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বল হাতে থাকা ফিল্ডার রশিদ খানের পায়ে নাকি হাতে লেগে স্টাম্প ভেঙেছে বারকয়েকের রিপ্লেতেও তা পরিষ্কার হয়নি।
ম্যাচের ২১তম ওভারের ঘটনা। রশিদ খানের গুগলি স্কয়ার লেগের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ওখানে দাঁড়ানো ছিলেন ফিল্ডারও। ইমরুলের কল পেয়ে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে মুশফিকুর রহিমের দৌড়। মত বদলে ইমরুল না করার আগেই মুশফিক দৌড়ে প্রায় অন্য প্রান্তে চলে আসায় সময় মতো ফিরতে পারেননি। তবে ওদিকে ঘটেছে আরেক ঘটনা। মোহাম্মদ নবীর কাছ থেকে বল নিয়ে ঠিকমতো স্টাম্পে লাগাতে পারেননি রশিদ খান। যে হাতে বল ধরেছিলেন সে হাত দিয়ে বেল ফেলেছেন নাকি তার পায়ে লেগে স্টাম্প ভেঙেছে তা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান টিভি আম্পায়ার শন জর্জের সিদ্ধান্ত যায় বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
ক্রিকেটীয় আইন অনুযায়ী যে হাত দিয়ে ফিল্ডার বেল ফেলবেন ওই হাতেই থাকতে হবে বল। এমনকি বাহুতে লেগে স্টাম্প ভাঙলেও রান আউট গণ্য করা হবে।
কিন্তু রশিদ খানের বাহুতে নাকি পায়ে লেগে স্টাম্প ভেঙেছে তা বারকয়েক রিপ্লে দেখেও পরিস্কার হওয়া যায়নি।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ এদিনও শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে। ১৮ রানেই পড়ে যায় ২ উইকেট। আরও একবার হতাশ করে ৬ রানে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়ান ডাউনে সুযোগ পেয়ে ১ রানেই শেষ হয় মোহাম্মদ মিঠুনের ইনিংস। এরপরই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাংলাদেশের। লিটন দাসের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে তুলে এগুচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের বলে দারুণ এক চার মারার পর ৪১ রান করা লিটন আত্মঘাতি শটে ফেরার পরই ভূতুড়ে দুই রান আউট।
ওই ওভারেই রশিদের বলে ঝুঁকি নিয়ে প্রান্ত বদল করতে যান সাকিব। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা মুশফিকের ‘না’ তার কানে যায়নি। সরাসরি থ্রোতে স্টাম্প ভাঙ্গেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। রশিদের পরের ওভারেই আরও অদ্ভুতুড়ে কান্ড। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তাই ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
Comments