সেপ্টেম্বরে খুলতে পারে ‘বাংলাদেশ ভবন’

Bangladesh Bhaban
ভারতের শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দর্শনার্থীদের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হতে পারে শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবন’। গত ২৫ মে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের হাত দিয়ে যৌথভাবে এই ভবনের দ্বার-উন্মোচন করা হয়েছিল।

কথা ছিল, আনুষ্ঠানিক দ্বার-উন্মোচনের পরপরই শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা হাজার হাজার পর্যটক ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ওই ভবনটি। কিন্তু, বাংলাদেশ ভবনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত কাজ বাকি থাকায় তা গত চার মাসে সম্ভব হয়নি।

তবে আজ (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত যা খবর তাতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিনের ‘বাংলাদেশ উৎসব’ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ভবনটির দায়িত্বভার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে তুলে দেবে বাংলাদেশ সরকার।

আর ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ৪০ বা ৫০ সদস্য বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক ও রাজনীতিকদের একটি প্রতিনিধি দল যোগ দিতে পারেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজ কলি সেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, “আগামী ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর এই তিনদিন শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ উৎসব’ উদযাপিত হওয়ার কথা। বাংলাদেশ সরকার সেরকম আগ্রহ দেখিয়েছি। আমরাও সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের হাত ধরে দ্বার-উন্মোচিত ‘বাংলাদেশ ভবন’ কেন আজও পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব হলো না?- এমন প্রশ্নের উত্তরের উপাচার্য বলেন, “প্রধানমন্ত্রীরা উদ্বোধন করবেন বলেই তাড়াতাড়ি করা হয়েছিল। সে কারণে ভেতরের কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সম্পন্ন করতে পারেনি নির্মাণকারী সংস্থা। সেগুলো এখন প্রায় সব করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ উৎসবের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সম্ভব হবে বাংলাদেশ ভবন।”

Bangladesh Bhaban Library
‘বাংলাদেশ ভবন’-এর লাইব্রেরি। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “মঙ্গলবার অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বলে আমার কাছে খবর রয়েছে। তবে যাই হোক, আমরা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ভবন পুরোপুরি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।”

গত ২৫ মে আনুষ্ঠানিক দ্বার-উন্মোচনের পর প্রায় দেড় মাস পর কিছু সময়ের জন্য শুধুমাত্র ভবনের লাইব্রেরি খুলে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবুও অনেক পর্যটক বাংলাদেশ ভবনের মূল দরজা বন্ধ দেখে ফিরে এসেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সাহায্য এবং ভারত সরকারের জমি- এভাবে যৌথ উদ্যোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির ওপর নির্মিত হয়েছে এই ‘বাংলাদেশ ভবন’। প্রায় ১৮ মাস সময় নিয়ে এটি নির্মাণ করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।

নির্মাণের পর ওই ভবনের অভ্যন্তরের বিষয়গুলোতে সহায়তা করে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও।

প্রায় আড়াই বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই ভবনের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ লাইব্রেরি, বাংলাদেশ জাদুঘর ছাড়াও ৪৫৪ আসন বিশিষ্ট অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম এবং দুটো ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।

শান্তিনিকেতনে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটকদের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরতেই বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একটি ভবন তৈরির ব্যবস্থা নেন।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

3h ago