কলকাতায় জয়ার চলচ্চিত্রের সংখ্যার সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তাও

Joya Ahsan
‘ক্রিসক্রস’-এর প্রিমিয়ার শোতে জয়া আহসান। ছবি: স্টার

“আসলে কে কী বললেন তা নিয়ে একজন শিল্পী হিসেবে আমার তেমন কোনও ভাবনা নেই। আমার ভাবনা হচ্ছে আমার কাজ নিয়ে। দর্শকদের সামনে কতটুকু ভালো কাজ করে দেখাতে পারলাম আমি সেটিই ভাবি,” কলকাতায় দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বলছিলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান।

মাত্র দুদিন আগে জয়া আহসান অভিনীত ‘ক্রিসক্রস’ ছবিটি মুক্তি পেলো ভারতে। মুক্তির দিন অর্থাৎ ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ছবিটির প্রিমিয়ার শোর আয়োজন করেছিল ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কাটেশ মুভিজ।

অনুষ্ঠানে জয়ার সঙ্গে কথা বলার আগে কথা হয় ছবিটির পরিচালক বিরসা দাসগুপ্তের সাথে। “এই ছবিতে জয়ার অভিনয় নিয়ে কোনও কথা হবে না- তার সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। ওর মতো অভিনেত্রীকে নিয়ে কাজ করা সত্যিই গর্বের ব্যাপারও,” চোখে-মুখে বিস্ময় নিয়ে এক নিশ্বাসে দ্য ডেইলি স্টারকে কথাগুলো বললেন ‘ক্রিসক্রস’-এর পরিচালক বিরসা দাসগুপ্ত।

সমাজের চারটি শ্রেণির পরিবারের প্রতিনিধি, ভিন্ন মানসিক গঠনের চার নারী চরিত্রের সাংঘর্ষিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের অন্য তিন নারী চরিত্রের দুজন সোহিনী এবং প্রিয়াঙ্কা।

জয়া আহসান সম্পর্কে তার কী মূল্যায়ন- এ প্রশ্নের উত্তরের সোহিনী ডেইলি স্টাকে বললেন, “জয়া দি সম্পর্কে মূল্যায়ন করার ধৃষ্টতা আমার নেই। উনি একজন গুণি শিল্পী। ভীষণ ভালো মনের মানুষ। তার অভিনয় শৈলী চোখে নয়, হৃদয়ে আটকে থাকে। কেউ যদি ভুলেও আমার সঙ্গে জয়া দির তুলনা করেন, তাহলে আমি সেটিকেও ধৃষ্টতা বলেই মনে করবো। কারণ, জয়া দির তুলনা শুধু তিনি নিজেই।”

প্রশ্ন শুনে কিছু সময় চুপ করে ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা… এরপর একটু হেসে বললেন, “জয়া দি আমার কাছে দৃষ্টান্ত। তার মতো অভিনেত্রী সত্যিই প্রয়োজন এখন। ‘ক্রিসক্রস’-এ একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। যদিও আমি এর আগেও জয়া দির সঙ্গে কাজ করেছি।”

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’ চলচ্চিত্রে জয়া আহসানের সহ-অভিনেতা ছিলেন রুদ্রনীল। তার সঙ্গে অভিনয়ের দৃশ্য-সংলাপ নিয়ে বাংলাদেশে ভক্তদের কাছ থেকে তুমুল বিতর্ক-সমালোচনাও সহ্য করতে হয়েছে জয়া আহসানকে। যদিও এর কোনও আঁচ পড়েনি কলকাতায়। এমনকি, জয়ার সহ-অভিনেতা রুদ্রনীলও খুব একটা অবগত নন বিষয়টি নিয়ে।

ডেইলি স্টারকে রুদ্রনীল বললেন, “জয়া একজন অসামান্য দক্ষ অভিনেত্রী। এই ধরনের অভিনেত্রীর কোনও সীমানা নেই, কোনও জাত নেই।”

‘রাজকাহিনী’ করার অনেক আগে থেকেই জয়া আহসানের অভিনয় দেখেছেন রুদ্রনীল। টেলিভিশনে অনেক নাটক দেখেছেন জয়ার। সেই থেকে তিনি জয়ার ভক্ত- জানালেন রুদ্রনীল।

এই মুহূর্তে কলকাতার জনপ্রিয় তারকাদের শীর্ষে রয়েছেন জয়া আহসান। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ দিয়ে কলকাতার চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এরপর ‘ভুতের গল্প’, ‘রাজকাহিনী’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘ভালবাসার গল্প’ এবং ‘বিসর্জন’ থেকে হালের এই ‘ক্রিসক্রস’- প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে পাওয়া গিয়েছে জয়াকে। কলকাতায় যতই তার চলচ্চিত্রের সংখ্যা বাড়ছে ততই বাড়ছে জনপ্রিয়তাও।

তবে জয়া আহসান এসব নিয়ে তেমন গর্বিত নন, বরং নির্লিপ্ত। এই অভিনেত্রীর কাছে কাজটাই প্রথম এবং কাজটাই শেষ। দুই বাংলার দর্শকরাই তার মুল শক্তি। দৃঢ়তার সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারকে বললেন জনপ্রিয় এই তারকাশিল্পী।

Comments

The Daily Star  | English
capital flight in Bangladesh during Awami League's tenure

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

17h ago