সুপ্রিম কোর্টের রায়, আম আদমির বিজয়

দিল্লির লাড্ডু নিয়ে কত কথাই চর্চিত হয় রোজ। তবে এবার চর্চিত বিষয় হচ্ছে, ভারতের রাজধানী দিল্লি কার? অর্থাৎ দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, রাজ্য সরকার, নাকি কেন্দ্রীয় সরকার? বেশ কিছু দিন ধরে চলা এই বিতর্কের আজ অবসান ঘটল।
দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বয়জাল ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: এনডিটিভির সৌজন্যে

দিল্লির লাড্ডু নিয়ে কত কথাই চর্চিত হয় রোজ। তবে এবার চর্চিত বিষয় হচ্ছে, ভারতের রাজধানী দিল্লি কার? অর্থাৎ দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, রাজ্য সরকার, নাকি কেন্দ্রীয় সরকার? বেশ কিছু দিন ধরে চলা এই বিতর্কের আজ অবসান ঘটল।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ.কে. শিকরি এবং বিচারপতি এ.এম খানউইলকারের সাংবিধানিক বেঞ্চ এক রায়ে বলেছেন, দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা থাকবে উপ-রাজ্যপালের হাতে। তবে দিল্লির রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার মতামত তাকে নিতেই হবে। অর্থাৎ বর্তমানে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির মন্ত্রিসভার মতামতের ওপর নির্ভর করে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবেন উপ-রাজ্যপাল অনিল বয়জাল।

কিছু দিন আগে দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বুধবার (৪জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ এমন রায় দেন। রায়ে বলা হয়, সব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না উপ-রাজ্যপাল। তিনি মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনা করতে বাধ্য। কিন্তু কোনো বিষয়ে যদি তিনি মন্ত্রিসভার সঙ্গে একমত না হন তবে সেই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যেতে পারবেন।

ভারতের সংবিধানের ২৩৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, উপ-রাজ্যপাল প্রত্যেক বিষয়ে মন্ত্রিসভার পরামর্শ শুনতে বাধ্য। স্বাধীনভাবে তার কাজ করার কোনো অধিকার নেই। দিল্লির নির্বাচিত সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্তে নাক গলাতেও পারবেন না উপ-রাজ্যপাল। যদিও সংবিধানে তাকে দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান হিসাবেই মর্যাদা দেওয়া রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তাদের জন্য বড় বিজয় বলে মনে করেছেন আম আদমি পার্টির প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। টুইট বার্তায় কেজরিওয়াল লেখেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় বিজয়।’  তিনি আজ সন্ধ্যায় তার মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে আম আদমি পার্টি বা দিল্লির রাজ্য সরকারে ভবিষ্যতে যেই আসুক না কেন তাদের জন্য একটা বড় স্বস্তির কারণ হল। রায়ে ফলে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিল শীর্ষ আদালত যে, দিল্লিতে জনতা যে সরকারকে নির্বাচিত করবে, তার স্বাধীনভাবে কাজ করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী উপ-রাজ্যপাল দিল্লির প্রশাসনিক প্রধান হলেও নির্বাচিত সরকারের মতামতকেই প্রাধান্য দিতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Decision to suspend all political activities on DU campus a bad move: Fakhrul

The BNP leader said this issue cannot be resolved forcibly or through imposing restrictions

1h ago