ঘোষণা ছাড়াই আংশিক খোলা শান্তিনিকেতনের ‘বাংলাদেশ ভবন’
ঘোষণা ছাড়াই আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীতে সদ্যনির্মিত ‘বাংলাদেশ ভবন’। বাংলাদেশ জাদুঘর, স্টাডি রুম, আন্তর্জাতিক মিলনায়তন এবং গ্রন্থাগার- এই চার শাখা নিয়ে চার হাজার বর্গমিটারের ‘বাংলাদেশ ভবন’-এর উদ্বোধন করেন দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরই আশা করা হয়েছিল পরবর্তী দুই-এক দিনের মধ্যেই খুলে দেওয়া হবে বহুল প্রত্যাশিত ভবনটি। কিন্তু সেটি করতেই পারেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।
সম্প্রতি, অনানুষ্ঠানিকভাবে শুধুমাত্র গ্রন্থাগারের কক্ষটিই খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে রোজ দর্শনার্থী যাচ্ছেন। আজ (২ জুলাই) টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে দ্য ডেইলি স্টারকে এই কথা জানান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশ ভবনের চাবি হাতে পেয়েছি। তবে সবগুলো শাখা খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি এখনো।” এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ জাদুঘরে মূল্যবান বহু জিনিসপত্র রয়েছে। আবার এমন অনেক টেবিল রয়েছে যার কাঁচ ভালো করে লাগানোই ছিল না। সেই কাঁচগুলো লাগানোর কাজ চলছে এখন। সেগুলো হলেই খুলে দেওয়া হবে জাদুঘরটি।”
গত ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে শান্তিনিকেতনের বাজিপোড়ার মাঠে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন। প্রায় ৩৭ দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও ভবনটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় অনেক দর্শনার্থী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধনের খবর পেয়ে বহু বিদেশি পর্যটক ভিড় করছেন রোজ। কিন্তু, ভেতরে ঢুকতে না পেরে ফিরছেন একরাশ ক্ষোভ নিয়ে।
এ বিষয়ে আজ বিকালে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান টেলিফেোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “জুলাই মাসের মধ্যেই পুরোপুরিভাবে খুলে দেওয়া হবে বাংলাদেশ ভবন। লাইব্রেরিতে তিনহাজার বই দেওয়া আছে। সেখানে আরও তিনহাজার বই দেওয়া হবে। এছাড়াও, বাংলাদেশ জাদুঘরের ভেতরের নিরাপত্তার কিছু বিষয় বাকি থাকায় এখনও তা আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি।”
Comments