পশ্চিমবঙ্গকে জাহাজ তৈরিতে প্রযুক্তি দিবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জাহাজ তৈরি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে আজ (৬ জুন)।
Western Marine Shipyard
৬ জুন ২০১৮, বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোমদেব চট্টোপাধ্যায় সংস্থা দুটির পক্ষে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। ছবি: স্টার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জাহাজ তৈরি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে আজ (৬ জুন)।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ভারতের “জাতীয় নদী পথ এক”-এ আগামী দশ বছরে ৬০টি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের জন্যেই দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

আজ বিকালে কলকাতায় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও পরিবহনসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন এবং শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোমদেব চট্টোপাধ্যায় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

রাজ্য পরিবহন দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া, কলকাতা ও ফারাক্কা উত্তর প্রদেশের বারানসি পর্যন্ত ভারতের “জাতীয় নদী পথ এক” সচল করতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছেন।

এমনকি, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির চারটি নদী পথে আগামী দশ বছরে ৬০০টি জাহাজ নামানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সে লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের “জাতীয় নদী পথ এক”-এ ৬০টি জাহাজ চালাবে রাজ্য সরকার।

গতকাল (৫ জুন) রাতে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শালিমারের সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে সেটি বলা যায় ভারতের জাতীয় অভ্যন্তরীণ নদী পথ কর্তৃপক্ষের দেওয়া ওই বিশাল প্রকল্পের টেন্ডারে অংশ নেওয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করা।

পশ্চিমবঙ্গের শালিমারের সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানের ২৬/৭৪ শতাংশ হিসাবে অংশিদারিত্ব থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড মূলত প্রযুক্তি বিনিয়োগ করবে। পরিকাঠামো দেবে শালিমার।

৬০০ টন থেকে ২ হাজার ৫০০ টনের এক একটি জাহাজ নির্মাণে পাঁচ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা খরচ হবে। সে হিসেবে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রেক্ষিতে লাভ-ক্ষতিও ভাগাভাগি করা হবে।

১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত শালিমার ওয়ার্কস লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে ধুকছে। ভারত সরকারের দেওয়া জাতীয় টেন্ডারে অংশ নিতে হলে তাদের যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকা দরকার তা নেই।

অন্যদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১২০টি জাহাজ নির্মাণ করা এবং ৪০টি জাহাজ ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করার মতো অভিজ্ঞতা রয়েছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড-এর।

দুটি প্রতিষ্ঠানের চুক্তির ফলে শালিমার যেমন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে একইভাবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটির ভারতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে বাংলাদেশের রাজস্ব আয় আরও বাড়বে- এমনটিই মনে করছে সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষই।

Comments

The Daily Star  | English

‘Vested groups behind violence in the hills’

Three advisers, who visited Rangamati and Khagrachhari yesterday, have pointed out that vested groups are trying to destabilise the situation in the hills with a view to putting the interim government in an awkward position.

1h ago