এখন থেকে দেশেই উৎপাদিত হবে স্যামসাংয়ের চার পণ্য

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের চার ধরনের ইলেক্ট্রনিক গৃহস্থালি সামগ্রী এখন থেকে বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে।

আজ বাংলাদেশে দুটি কারখানা উদ্বোধনের কথা রয়েছে স্যামসাংয়ের। ফ্যাক্টরি দুটিতে এলইডি টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ও মাইক্রোওয়েভ ওভেন উৎপাদন করা হবে। স্থানীয় ট্রান্সকম গ্রুপ ও ফেয়ার ইলেক্ট্রনিকসের সাথে যৌথভাবে স্যামসাং এই পণ্যগুলো উৎপাদন করবে।

স্থানীয়ভাবে স্যামসাংয়ের মত প্রতিষ্ঠানের পণ্য উৎপাদনকে দেশের প্রকৌশল সক্ষমতার স্বীকৃতি হিসেবেই ধরা হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত মূলত আমদানির মাধ্যমে দেশের গৃহস্থালি ইলেক্ট্রনিকস সামগ্রীর চাহিদা পূরণ করা হয়। নতুন কারখানা চালু হওয়ার ফলে পণ্যগুলোর দাম কমার পাশাপাশি প্রতি বছর বিশাল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিকসের সাথে চুক্তি অনুযায়ী রাজধানীর মহাখালীতে কোম্পানিটির সর্বাধুনিক কারখানায় স্যামসাংয়ের এলইডি টেলিভিশন তৈরি হবে। ১৮ হাজার বর্গফুটের এই কারখানায় গত মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে টেলিভিশন উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকসের হেড অব বিজনেস ইয়ামিন শরিফ চৌধুরী বলেন, এখানে তৈরি টেলিভিশন হবে অত্যন্ত উচ্চ মানের। এই কারখানায় ৫৫ ইঞ্চির কম মাপের ১৩টি মডেলের টেলিভিশন তৈরি হবে। টেলিভিশন তৈরির কিছু যন্ত্রপাতি ভিয়েতনাম থেকে আনা হবে। আর প্রযুক্তিগত সহায়তা দিবে স্যামসাং।

তিনি মনে করেন, দেশের জন্য গর্বে করার মত হবে এই ফ্যাক্টরি। দেশের ব্র্যান্ডিংয়েও এটা সহায়ক হবে।

ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিকসের ফাইন্যান্স ও একাউন্টস বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মো শাকিল চৌধুরী বলেন, আমদানি করা যেসব স্যামসাং টেলিভিশন এখন বাজারে পাওয়া যায় এখানে উৎপাদিত টেলিভিশনের দাম তার চেয়ে কম হবে।

বর্তমানে পাঁচটি পরিবেশকের মাধ্যমে স্যামসাং তার পণ্য বিক্রি করছে। নতুন ফ্যাক্টরি থেকে তাদের মাধ্যমেই টেলিভিশন সরবরাহ করা হবে। তবে এখানে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির কোন পরিকল্পনা নেই বলে জানান শাকিল।

ফেয়ার ইলেক্ট্রনিকস পরিচালিত অন্য কারখানাটি হবে নরসিংদীর শিবপুরে। সেখানে স্যামসাংয়ের রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও টেলিভিশন উৎপাদন করা হবে।

ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব জানান, শিবপুরে এরই মধ্যে রেফ্রিজারেটর উৎপাদন শুরু হয়েছে। শিগগিরই সেখানে অন্য তিনটি পণ্য উৎপাদন শুরু হবে। ওয়াশিং মেশিনও তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

স্যামসাংয়ের পণ্য উৎপাদনে কোম্পানিটি ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। আর প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞান বিনিয়োগ করছে স্যামসাং। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এই পণ্যগুলোর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বাজার দখলের লক্ষ্য রয়েছে তাদের।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত অহন সেয়ং ডু আজ কারখানাটি উদ্বোধন করবেন। এখানে প্রায় তিন হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

9m ago