টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির অভাব বোধ করবে টাইগাররা

মাশরাফি বিন মুর্তজা

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে গতকাল সব কিছুকেই ছাপিয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসরের ঘোষণা। টসের সময় জানিয়ে দিয়েছেন এটাই তার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে হুট করে টি-টোয়েন্টি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ওডিআই ফরম্যাটে এখনই দলের নেতৃত্ব অন্য কারও কাছে ছেড়ে দিচ্ছেন না তিনি।

টসের পর শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। মাঠের বড় স্ক্রিনগুলোর ক্যামেরা তখন মাশরাফির মুখের ওপর নিবদ্ধ। জাতীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘোষণার আবেগ তখন তার চেহারায়। আর সেটাই তো হওয়ার কথা। এই ফরম্যাটে দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক যে তিনি। জিম্বাবুয়ের কথা বাদ দিলে টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলা দলগুলোর বিপক্ষে যে পাঁচটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ তার তিনটি এসেছে মাশরাফির নেতৃত্বে।

টি-টোয়েন্টিতে তার জয় পরাজয়ের রেকর্ডে ১৬টি পরাজয়ের সাথে রয়েছে নয়টি জয় যেখানে সার্বিকভাবে বাংলাদেশ মোট ২০টি জয় ও ৪৩টি ম্যাচে হেরেছে। এটা ঠিক যে এক দিনের ম্যাচে তিনি বোলিংয়ের যে উঁচু মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সেই মান ধরে রেখে বল করতে পারেননি। তবুও ওভারপ্রতি গড় রান ৮ পার হতে দেননি তিনি। আর ৫২ ম্যাচে ৩৯টি উইকেট রয়েছে তার ঝুলিতে।

কিন্তু তার আসল কৃতিত্ব পরিসংখ্যান দেখে হিসাব করা যাবে না। যে কোন ম্যাচে পুরো দলের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেন মাশরাফি। এটা সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা গিয়েছিল গত বছর এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে যখন টুর্নামেন্টের ফাইনালে লড়েছিল টাইগাররা।

তৃতীয় ওডিআইতে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ টি-টোয়েন্টি দলে পরীক্ষানিরীক্ষার সুযোগ নিয়ে কিছু কথা বলেছিলেন। তবে তরুণদের জন্য মাশরাফি নিজেই জায়গা ছেড়ে দিতে পারেন সে ব্যাপারে তার বক্তব্য থেকে কোন কিছু অনুমান করা কঠিন ছিলো। তিনি বলেছিলেন, দলে পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য শুধুমাত্র টি-টোয়েটির পথই খোলা রয়েছে। এর কারণ হল অন্য দুটি ফরম্যাটে দল বেশ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। অবসর নিয়ে ফেসবুকে যা লিখেছেন সেখানেও এই কথাই বলেছেন মাশরাফি।

Comments