ভারতের পূর্ব-রেল প্রস্তুত

কলকাতা-খুলনা রুটে নতুন মৈত্রীর চাকা ঘুরবে পহেলা বৈশাখ

ঢাকা-কলকাতার পর এবার কলকাতা-খুলনা রুটেও নতুন মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হবে। ৭ এপ্রিল ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে পরীক্ষামূলক যাত্রার ফ্ল্যাগ অফ করতে পারেন।
২০০৮ সালে ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-কলকাতার পর এবার কলকাতা-খুলনা রুটেও নতুন মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হবে। ৭ এপ্রিল ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে পরীক্ষামূলক যাত্রার ফ্ল্যাগ অফ করতে পারেন।

বর্তমানে কলকাতা (চিৎপুর) স্টেশন থেকে ঢাকা-কলকাতা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস চলছে। কলকাতা-খুলনা রুটের সম্ভাব্য এই নতুন যাত্রীবাহী ট্রেনও এই স্টেশন থেকে চলবে বলে জানা যাচ্ছে।

ভারতীয় রেলের পূর্ব শাখার প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র শনিবার সকালে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, “রেলের পক্ষ থেকে আমরা তৈরি। এবার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত।”

ওই কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেন, সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।

এর আগে ২৭ মার্চ নতুন রুটের যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে জন্য ভারতের পূর্ব-রেলের শিয়ালদহ শাখার ম্যানেজার বাসুদেব পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এরপর শুক্রবার দুপুরে বনগাঁ-পেট্টাপোল সীমান্তে পূর্ব-রেলের জেনারেল ম্যানেজার এস এন আগওয়ালও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন বলে রেল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

ভারতের পূর্ব-রেল সূত্রে আরও জানা গেছে, ৮ এপ্রিল পরীক্ষামূলক নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে ভারতের রেলবোর্ড সবুজ সংকেত দিয়েছে। সেদিন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের হাতে সূচনা হওয়া রেলটি নির্বিঘ্নে যাত্রা সম্পন্ন করতে পারলে পহেলা বৈশাখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে কলকাতা-খুলনার নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটবে।

২০০৮ সালে ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হয়। কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে সীমান্ত গিয়ে ঈশ্বরদী হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর বুক চিড়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত ৩৭৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে এই ট্রেনের সময় লাগে প্রায় ১১ ঘণ্টা। এই মুহূর্তে সপ্তাহে পাঁচ দিন চলে মৈত্রী এক্সপ্রেস।

শুরুর দিকে তেমন যাত্রী না পেলেও আস্তে আস্তে মৈত্রীর যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। প্রথম দিকে সপ্তাহে দুদিন করে চলাচল করলেও জনপ্রিয়তা পাওয়ায় তা এখন সপ্তাহে পাঁচ দিনে ঠেকেছে। আগামীতে সপ্তাহে সাত দিনই মৈত্রী চলাচল করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে খুলনা-কলকাতা রুটের নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সপ্তাহে ক’দিন চলবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।  

১৯৪৭ সালের আগে শিয়ালদহ থেকে খুলনা এবং যশোর পর্যন্ত নিয়মিত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করত। দেশভাগের পর থেকে সেই ট্রেন চলা বন্ধ হয়ে যায়। এই রুট দিয়ে শুধু মাত্র মালগাড়ি চলাচল করে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam’s tax file shows no foreign income

S Alam Group owner Mohammed Saiful Alam’s 2022-2023 tax file is a puzzle. In that tax year, he declared personal assets worth Tk 2,532 crore, but did not show any personal bank loans from Bangladesh or his foreign income.

4h ago