ব্যাটসম্যানদেরকে ভার নিতে হবে: মুশফিক

উইকেটের মাঝে মুশফিকের দৌড় প্রমাণ করে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। ছবি: বিসিবি

আর একদিন বাদেই ওয়েলিংটনে সফরের প্রথম টেস্ট ম্যাচ শুরু করবেন টাইগাররা। আগের সীমিত ওভারের সবগুলো ম্যাচ হারার পর টেস্ট দলের ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম বলছেন সামনের টেস্ট দুটিতে লড়তে হলে নিজেদের আসল শক্তিটা দেখাতে হবে।

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিসহ আগের ছয়টি ম্যাচেই হারের লজ্জা পেয়েছে সফরকারীরা। এর মধ্যে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ক্রাইস্টচার্চের প্রথম ওডিআইটি বাদে আর কোন ম্যাচেই মাঠে নামার সুযোগ পাননি মুশফিক। সামনের পাঁচ দিনের ম্যাচগুলোতে ব্যাটিং ইউনিটের পারফরম্যান্সের দিকেই জোরটা বেশি দিচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক।

মুশফিক বলেন, “আমাদের ব্যাটসম্যানদের মূল কাজটা হবে খেলার একটা গতি নির্ধারণ করে দেওয়া যেটা ধরে বোলাররা লড়াই করবে। দুই ইনিংসেই যদি আমরা স্কোর বোর্ডে যথেষ্ট রান তুলতে পারি তবে বোলারদের জন্য তা সহায়ক হবে। আর রান তোলাটা আমাদের জন্য খুব জরুরি।” চোট পাওয়ার পর নিজের অবস্থা নিয়েও কথা বলেন মুশফিক। তিনি জানান, মাঝে মাঝে ব্যথাটা ফিরে আসলেও এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করছেন তিনি।

গত অক্টোবরে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের প্রসঙ্গ টেনে মুশফিক বলেন, এর মানে এই না যে আমরা খুব ভালো দলে পরিণত হয়েছি।

“দেশে যে পরিস্থিতি তাতে পৃথিবীর যে কোন দলের পক্ষেই সুবিধা করতে পারা কঠিন। দেশের বাইরে এটি আমাদের জন্যও খুব কঠিন। এখানে আমরা যেটা চাইছি তা হলো জয়ের মুখ দেখা। টেস্টে দীর্ঘ সময় ধরে উইকেটে টিকে থেকে লড়তে চাই আমরা। তামিম রান পেয়েছে, সাকিব বা রিয়াদেরও সেঞ্চুরি রয়েছে নিউজিল্যান্ডে। এখানে অনেক ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের” যোগ করেন তিনি।

আরেকটি বিষয় নিয়ে মুশফিক কথা বলেন যেটি আগের সীমিত ওভারের খেলাগুলোতে দেখা যায়নি। সেটা হলো পুরো দলের এক হয়ে খেলা।

“দল হিসেবে নিজের প্রমাণ দিতে হবে আমাদের যেটা আমরা ওডিআই ও টি-টোয়েন্টিগুলোতে করতে পারিনি। সম্মিলিতভাবে নিজেদের কাজগুলো করতে পারলে এক থেকে দুটি ম্যাচ বের করে নিয়ে আসতে পারবো। টেস্টগুলোতে এটা করতে হবে আমাদের। আমি বিশ্বাস করি আমাদের এটা করার সক্ষমতা রয়েছে। নিজেদের আসল খেলাটা দেখাতে হবে। প্রতি সেশনেই আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।”

“বোলিং ইউনিট হিসেবে আপনি যখন জানেন যে ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে আপনার, আর এটার যখন প্রমাণ থাকে তখন সেটা উৎসাহ দেওয়ার মতোই হয়। কিন্তু এখানকার মাঠের অবস্থাটা একটু ভিন্ন। স্পিনার নয় বোলিংয়ে পেসারদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে এখানে।”

সেই সঙ্গে সৌম্য সরকারসহ নিজের পাঁচ জন বোলারের ওপর পূর্ণ আস্থা থাকার কথাও জানান মুশফিক। তিনি বলেন, শুধু নিউজিল্যান্ড নয় যেকোনো শীর্ষ দলের ২০ উইকেট তুলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে দলের বোলাররা।

মুশফিকের পর্যবেক্ষণ, “একটা ভালো বল ব্যাটসম্যানকে আউট করে দিতে পারে। বোলারদের যে প্রতি আমাদের বার্তাটা হল ভালো লাইনে বল চালিয়ে যেতে করতে হবে। এটা সহজ না হলেও টেস্টের সৌন্দর্যটাও এখানেই। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং যেটাই করুন পাঁচ দিন কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এর পরই জয়ের পরিপূর্ণ আনন্দ আসতে পারে।”

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago