গোল্ডেন গ্লোবের আসরে ট্রাম্পকে একহাত নিলেন মেরিল স্ট্রিপ

গোল্ডেন গ্লোবের আসরে বিখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা মেরিল স্ট্রিপ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন।

ট্রাম্পের নাম সরাসরি উচ্চারণ না করে তিনি বলেন, “শক্তিশালী একজন মানুষ যদি জনসম্মুখে কেউকে অপমানিত করেন তাহলে তার প্রভাব সমাজের সবার ওপরে গিয়ে পড়ে। অশ্রদ্ধা, অশ্রদ্ধাকেই ডেকে আনে। সহিংসতা, সহিংসতাকেই উসকে দেয়।”

৬৭ বছর বয়সী স্ট্রিপ আবেগঘন ভাষণে বলেন, ট্রাম্প তাঁর এক প্রচারণায় একজন প্রতিবন্ধী রিপোর্টারকে ভেংচি কেটেছিলেন যা দেখে তিনি খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে স্থানীয় সময় রবিবার রাতে সিসিল বি দেমিলি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার নেওয়ার সময় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

“ঘটনাটি আমার হৃদয়ে পেরেক বসিয়ে দিয়েছিল… এটা এমন একটা সময়ে ঘটেছিল যখন সেই লোকটি দেশের সবচে সম্মানিত আসনে বসার জন্য চেষ্টা করছিলেন।”

২০১৫ সালে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় এক প্রচারণা সভায় ট্রাম্প নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর রিপোর্টার সেরগে কোভালেস্কিকে ভেংচি কেটেছিলেন। পরে অবশ্য ট্রাম্প এটা অস্বীকার করেছিলেন। তবে তিনি এর জন্য ক্ষমা চাননি।

স্ট্রিপের ভাষায়, “ঘটনাটি আমি আমার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিতে পারতেছি না। কেননা, এটি কোন মুভি না, এটি একটি বাস্তব ঘটনা।”

পুরো ভাষণে তিনবারের অস্কার বিজয়ী স্ট্রিপ ট্রাম্পের আচরণ ও অভিবাসনবিরোধী রাজনীতির সমালোচনা করেন। এর সঙ্গে তিনি হলিউডের সবাইকে যে কোন ধরণের আক্রমণের বিরুদ্ধে শক্তভাবে রুখে দাঁড়ানোর এবং মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি সমর্থন জানানোর আহ্বান জানান।

শ্রোতারা প্রায় পুরো সময় নীরবে স্ট্রিপের ভাষণ শুনেন। তবে তাঁরা উল্লাসে মেতে উঠেন যখন তিনি বলেন, “বহিরাগত ও বিদেশিদের হাত ধরেই হলিউড ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।”

শ্রোতার উল্লাসের মধ্যেই তিনি বলেন, “যদি আপনি সবাইকে লাথি মেরে বের করে দিতে চান তাহলে আপনার ফুটবল ও মাঝারি মানের মার্শাল আর্টই দেখতে হবে। আর কিছু দেখার থাকবে না।”

গত মাসে হৃদরোগে মারা যাওয়া ‘স্টার ওয়ার্স’-এর অভিনেত্রী ও বন্ধু ক্যারি ফিশারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্ট্রিপ তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

স্ট্রিপ ৩০ বার গোল্ডেন গ্লোবের জন্য মনোনীত আটবার পুরস্কার পেয়েছেন। সিসিল বি দেমিলি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পাওয়ার মধ্য দিয়ে স্ট্রিপ ডেনজেল ওয়াশিংটন, জর্জ ক্লুনি, উডি অ্যালান এবং জোডি ফস্টারদের তালিকায় নাম লেখালেন।

এদিকে, মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি স্ট্রিপের সমর্থনসূচক বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে আমেরিকার অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

5h ago