ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার অ্যাডাল্ট ফিল্ম অভিনেত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার একজন অ্যাডাল্ট ফিল্ম অভিনেত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। জেসিকা ড্রেক নামের এই অভিনেত্রীর অভিযোগ, হোটেল রুমে একা যাওয়ার জন্য তাঁকে ১০ হাজার ডলার দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১ জন নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাম্প তাদের শরীরে হাত, অশালীন ইঙ্গিত ও জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে সংবাদ সম্মেলন করে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন জেসিকা ড্রেক। একজন হাই প্রোফাইল আইনজীবী এসময় তাঁর সাথে ছিলেন।
ড্রেক জানান, ২০০৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি গলফ টুর্নামেন্টে ট্রাম্পের সাথে তাঁর দেখা হয়। ড্রেক বলেন, “তিনি আমার সাথে ফ্লার্ট করেন ও গলফ কোর্সে এক সাথে হাঁটতে বলেন।” এসময় তাঁকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব দেন ট্রাম্প।
আরও দুই জনকে সাথে নিয়ে ট্রাম্পের হোটেল কক্ষে যান ড্রেক। তিনি তখন পাজামা পরে ছিলেন। অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ট্রাম্প তাদেরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। তিনি পর্নোগ্রাফিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান বলেও ড্রেক অভিযোগ করেন।
সেখান থেকে রুমে ফেরার পর ট্রাম্প তাঁকে আবার ফোন করে একটি পার্টিতে অংশ নেয়ার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, “তুমি কী চাও? কত চাও?”
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বিমানে চড়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে যাওয়ার জন্য আবারও ফোন করে ১০ হাজার ডলারের প্রস্তাব দেয়া হয় তাঁকে। তবে এই প্রস্তাব ট্রাম্প নিজেই দিয়েছিলেন নাকি অন্য কেউ দিয়েছিলেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি ড্রেক।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ওই গলফ টুর্নামেন্টে যে দুজন নারী উপস্থিত ছিলেন তাঁদের একজন সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ও ড্রেকের একটি ছবি দেখান।
তবে ট্রাম্পের শিবির থেকে ড্রেকের সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “এই গল্প সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর।” ড্রেককে ট্রাম্প চেনেন না ও তাঁকে চেনার কোন আগ্রহও নেই বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শিবিরকে এর জন্য অভিযুক্ত করেছেন তাঁরা। জনমত জরিপে এগিয়ে থাকায় এবং ট্রাম্পের সম্মান নষ্ট করতে এই কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
৮ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে একের পর এক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় বেশ বিপাকে রয়েছে ট্রাম্পের শিবির। নির্বাচন শেষে ‘মিথ্যা অভিযোগকারীদের’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে ২০০৫ সালের একটি ভিডিও ফাঁস করে দেয় ওয়াশিংটন পোস্ট। ওই ভিডিওতে ট্রাম্পকে নারীদের সম্পর্কে নোংরা মন্তব্য করতে দেখা যায়।
Comments