বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা

মেলার উদ্বোধন করেন জুলাই শহীদ ফাহমিন জাফরের মা কাজী লুলুল মাখ মিন। ছবি: স্টার

বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত বইমেলা। 

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, বাংলা একাডেমির সহযোগিতায়, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির উদ্যোগে 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা ২০২৫' গতকাল একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে।

মেলার উদ্বোধন করেন শহীদ ফাহমিন জাফরের মা কাজী লুলুল মাখ মিন। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, 'আমার সন্তানের রক্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। আজকে এই বইমেলার মাধ্যমে মহান জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমরা স্মরণ করছি। সেই সঙ্গে স্মরণ করছি আমার ছেলে ফাহমিন জাফরের মতো সীমাহীন সাহসিকতা নিয়ে যারা তাদের বুক পেতে দিয়েছে স্বৈরাচারের গুলির সামনে, তাদের প্রত্যেককে। এই বইমেলা শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদদের স্মৃতির স্মরণই নয়, বরং এক অসীম সাহসী প্রজন্মের ও তাদের দৃঢ় প্রতিবাদ-প্রতিরোধেরও স্মরণ।'
 
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, 'গত এক বছরে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে যে পরিমাণ প্রকাশনা হয়েছে, এগুলো ভবিষ্যতের সুবিন্যস্ত গবেষণার জন্য প্রাথমিক উৎস হিসেবে সংরক্ষিত থাকলো। পরবর্তী সময়ে এই প্রকাশনাগুলোই আমাদের অভ্যুত্থানের ইতিহাসকে জিইয়ে রাখবে। জুলাই অভ্যুত্থান বইমেলা খুবই স্বাতন্ত্র্য একটা গুরুত্ব বহন করে। জুলাই অভ্যুত্থানের যে বইগুলো রচিত হয়েছে, সেগুলো ফ্যাসিবাদী নানা অপপ্রচারের শক্ত জবাব হিসেবে ঐতিহাসিক তাৎপর্য তৈরি করবে।'

ছোটদের সময়ের প্রকাশক মামুন সারওয়ার বলেন, 'বৃষ্টির মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বইমেলা। মানুষ হয়তো কম, কিন্তু এর গুরুত্ব রয়েছে। জুলাইকে জাগিয়ে রাখার জন্য এই ধরনের উৎসব কার্যকরী। জুলাই নিয়ে আমিরুল মোমেনীন মানিকের গোয়েন্দা কবলে মুগ্ধ, আফসার নিজামের কমপ্লিট শাটডাউন, ফাতেমা কাওসারের লাল জুলাইয়ে বাংলাদেশসহ আমাদের রয়েছে চারটি বই।'  

মেলা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এই বইমেলা। প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থাকবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago