নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফিরছেন টেইলর

ছবি: আইসিসি

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। এর চার মাস পর তিনি সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন ভঙ্গের দায়ে। সাজার মেয়াদ শেষে অবসর ভেঙে সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছেন জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল আগেই ঘোষণা করেছিল জিম্বাবুয়ে। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়ায়োতে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের জন্য স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে টেইলরকে। ৩৯ বছর বয়সী তারকার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই। ফলে ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই তার।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উচ্ছ্বসিত টেইলর বলেছেন, 'আমি সত্যিই ভেবেছিলাম আমার ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু এখন আবার আমি এখানে, এটা গভীর কৃতজ্ঞতায় ভরপুর একটি অনুভূতি।'

জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন বলেছেন, টেইলরকে পেয়ে তিনি আনন্দিত, 'আমি জানি, ফেরার জন্য ব্যক্তিগতভাবে সে কতটা পরিশ্রম করেছে, বিশেষ করে গত ৮, ১০ কিংবা ১২ মাসে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাকে আবার পাওয়া নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের ও দলের জন্য সে কী অবদান রাখে তা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি।'

২০০৪ সালের মেতে জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল টেইলরের, হারারেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে সাদা পোশাকে সবশেষ ম্যাচটি তিনি খেলেছিলেন ওই মাঠেই, বাংলাদেশের বিপক্ষে। এই সংস্করণে তিনি জিম্বাবুয়ের ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের মালিক। ৩৬.২৫ গড়ে তার রান ২৩২০। টেস্টে তার ছয়টি সেঞ্চুরির পাঁচটিই এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

টেইলর ফিরছেন এমন এক ব্যস্ত সময়ে, যখন জিম্বাবুয়ে টানা ক্রিকেট খেলছে। তারা চলতি বছরে সাতটি টেস্ট খেলেছে, যার মধ্যে জিতেছে মাত্র একটিতে। সামনে আরও চারটি টেস্ট রয়েছে দলটির। নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে তারা।

আগামী সেপ্টেম্বরে ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে। ক্ষুদ্রতম সংস্করণের দলে অবশ্য টেইলরের ফেরার সম্ভাবনা খুব কম। তবে ৫০ ওভারের দলের জন্য তিনি বিবেচনায় আসতে পারেন। আগামী ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজিত হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়।

Comments