মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের কমিশন গঠন

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের পর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। চার সপ্তাহের মধ্যে এই কমিশনকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক সচিব এ কে এম জাফর উল্লা খানকে। অন্য সদস্যরা হলেন বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল এম সাঈদ হোসাইন (অব.), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত), ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, নগর–পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আশিকুর রহমান এবং আইনজীবী আশরাফ আলী।

কমিশনের কার্যপরিধি নিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার প্রেক্ষিত, কারণ ও দায়দায়িত্ব উদ্‌ঘাটন করা। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অন্যদের জীবনহানি ও গুরুতর আহত হওয়ার বিষয়সহ সব ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় চিহ্নিত করা। বিমানবন্দরের খুব কাছের এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ এবং ফ্লাইং জোনের অবস্থানগত সঠিকতা ও নিরাপদ পরিচালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনগত ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো পরীক্ষা করা।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন, ফ্লাইং জোনে ভবন নির্মাণ ও দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদান করা। এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করা।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যে কোনো স্থান পরিদর্শন এবং যে কোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

Comments