আইন ও শিক্ষা উপদেষ্টার উপস্থিতিতে মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, বিচার-নিরাপত্তা দাবি

ঢাকার উত্তরায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। তারা এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এদিন সকাল আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার ও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন। তারপর তারা বেরিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের ঘিরে ধরেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পরে উপদেষ্টারা ভবন ৫–এর নিচতলার একটি কনফারেন্স রুমে যান। সেখানে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও পাঁচ থেকে সাতজন শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়।

এ সময় শত শত শিক্ষার্থী বাইরে অবস্থান নেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে আছে—নিহতদের সঠিক নাম ও পরিচয়ের তালিকা প্রকাশ, আহতদের পূর্ণ ও যাচাইকৃত তালিকা প্রকাশ, নিহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পুরনো ও অনিরাপদ প্রশিক্ষণ বিমানগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা।
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের ফটোসাংবাদিক প্রবীর দাশ জানান, সকাল থেকে সেখানে জমায়েত হন শত শত শিক্ষার্থী। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সেখানে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে শুরু করেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা 'আমার ভাই মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই, 'সঠিক লাশের হিসাব চাই' ইত্যাদি ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ভাই-বোন মরেছে, আমরা এ ঘটনার জবাব চাই। প্রশাসনের লোকেরা কেন আমাদের শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছেন, তার জবাব দিতে হবে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্প থেকে মাইকিং করে জানানো হয়— দিয়াবাড়ি গোলচত্বর এলাকায় এবং এর আশেপাশে সব ধরণের জমায়েত, বিক্ষোভ বা অবস্থান কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই কলেজ চত্বরে ভিড় বাড়তে থাকে। অনেকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী ও আত্মীয়-স্বজনের খোঁজে সেখানে ছুটে আসেন।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অনেককে সকালেই হোস্টেল ছাড়তে দেখা যায়।
এর আগে গতকাল দুপুরে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২৫ জনই শিশু।
Comments