এখন সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন শামীম

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও সহজ পরাজয় মানতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে টাইগাররা। আর জয়ের ধরণে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে তাদের। এখন সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে খেলতে প্রস্তুত বাংলাদেশ—এমনটাই জানালেন অলরাউন্ডার শামীম হোসেন পাটোয়ারি।

রোববার ডাম্বুলায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথম ম্যাচের সাত উইকেটের হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয় সিরিজে ১-১ সমতা এনে দিয়েছে এবং ১৬ জুলাই কলম্বোতে হতে যাওয়া তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিকে রূপ দিয়েছে ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শামীম বলেন, 'সবার আগে ম্যাচ জেতাটা সবচেয়ে আনন্দের। সিরিজ এখন সমতায়, তাই এই জয় আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখন আমাদের সামনে সিরিজ জয়ের সুযোগ। যদি আমরা এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারি, তাহলে আমি বিশ্বাস করি আমরা সিরিজ জিততে পারব।'

বাংলাদেশের জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর শামীম ২৭ বলে দ্রুত ৪৮ রান করে দলের স্কোর পৌঁছে দেন ১৭৭ রানে।

বল হাতে এবং ফিল্ডিংয়েও শামীম রাখেন বড় অবদান। দ্বিতীয় ওভারেই তার সরাসরি থ্রোতে আউট হন ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস। এরপর বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচে ফিরিয়ে দেন আভিস্কা ফার্নান্দোকে। ফলে ৫ ওভারের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ২৫/৩।

এদিন বাংলাদেশের বোলাররাও দুর্দান্ত ছিলেন। একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ১৫.২ ওভারে স্বাগতিকদের অলআউট করে দেয় মাত্র ৯৪ রানে। টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।

'লিটনের ব্যাটিং ছিল অসাধারণ। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। টি-টোয়েন্টিতে ভালো শুরু অনেক গুরুত্বপূর্ণ, আর লিটনের ইনিংসটাই আমাদের বড় স্কোর গড়ার পথ তৈরি করে দেয়,' বলেন শামীম।

মাঝের ওভারে কিছুটা সতর্ক ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, সেটিরও যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেন শামীম, 'সবসময় মারমুখী খেলা যায় না। তখন আমাদের দরকার ছিল একটা স্থির পার্টনারশিপ। আমাদের দলে পরে বেশ কিছু পাওয়ার হিটার ছিল, তাই উইকেট ধরে রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিটন ও হৃদয়ের সেই জুটি ম্যাচে বড় ভূমিকা রেখেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Why was July 2025 wetter in Bangladesh?

Bangladesh experienced three low-pressure systems on July 7, July 14 and July 24 which led to heavy rain

55m ago