এনরিকের বড় উপকার করছেন মরিনহো!

প্যারিস সাঁ জার্মেই (পিএসজি) যেন জীবনের সোনালী সময় কাটাচ্ছে। লুইস এনরিকের দল বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। আজ রাতেই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চেলসির। এ শিরোপা জেতার দৌড়ে প্রধান দাবিদার হিসেবেই মাঠে নামছে পিএসজি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চললে মৌসুমে পঞ্চম শিরোপা জিতে নেবে দলটি, সঙ্গে পাবে মোটা অঙ্কের অর্থ।
পিএসজির দলে এখন তারুণ্য, অভিজ্ঞতা ও বিজয়ের ক্ষুধা সবই রয়েছে। তবু কোচ লুইস এনরিক এবং ক্রীড়া পরিচালক লুইস ক্যাম্পোস জানেন, দলকে আরও উন্নত করা সম্ভব। আর সেটি করতে হলে আগে কিছু খেলোয়াড়কে বিদায় দিতে হবে, যাদের আর জায়গা নেই 'পার্ক দেস প্রিন্সেস'-এ।
সাফল্যের তরঙ্গে ভেসে চলা পিএসজি এখন এক ইতিবাচক আবহে আছে, যা থেকে বের হতে চায় না তারা। ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর তথ্য অনুযায়ী, ক্লাব খুব শিগগিরই এক ধাক্কায় দুজন 'অপ্রয়োজনীয়' খেলোয়াড়কে বিদায় দিতে যাচ্ছে। এবং মজার বিষয় হলো, একই ক্লাব তাদের দুজনকেই নিতে রাজি!
এই ক্লাবটি হচ্ছে জোসে মরিনহোর ফেনারবেক। চলতি মৌসুমে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন সুপার লিগে গ্যালাতাসারেকে টপকাতে আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে চাইছে। জন ডুরান ও আর্চি ব্রাউনকে নেওয়ার পর ইস্তানবুলের ক্লাবটি আরও চায়। আর সেক্ষেত্রে পর্তুগিজ কোচ মরিনহো ও স্প্যানিশ কোচ এনরিকের চাওয়া যেন মিলে গেছে।
মরিনহোর পছন্দের তালিকায় প্রথম নাম মিলান শ্রিনিয়ার। পিএসজি গত দলবদলেই স্লোভাক এই সেন্টারব্যাককে বিভিন্ন ক্লাবে অফার করেছিল। ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি ও ১ কোটি ইউরো বার্ষিক বেতন থাকায় তাকে দ্রুত ক্লাব ছাড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। পরে ব্যর্থ হয়ে জানুয়ারিতে তাকে ধারে ফেনারবেকে পাঠানো হয়, যেখানে তিনি মোটামুটি ভালো খেলেছেন।
২৩ ম্যাচে তিন গোল ও একটি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি তিনি ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, যা তুরস্কে সবাইকে সন্তুষ্ট করেছে। ৩০ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার ইন্টার মিলানে তার সেরা সময় পার করলেও প্যারিসে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ফেনারবেকেই যেন তার ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবনের উপযুক্ত জায়গা।
শ্রিনিয়ারের দলবদল প্রায় চূড়ান্ত। এর সঙ্গে, মার্কো আসেনসিওর ট্রান্সফার নিয়েও আলোচনা এগিয়ে চলছে। চলতি মৌসুমে অ্যাস্টন ভিলায় ধারে খেলে ২১ ম্যাচে আট গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করে খারাপ করেননি তিনি। তবু ২৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের জন্য নতুন পিএসজিতে জায়গা পাওয়া কঠিন।
তুর্কি লিগে খেলতে গেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা কিছুটা কমবে, কিন্তু নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবেন আসেনসিও। সেই সঙ্গে হয়ে উঠতে পারেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। ইতোমধ্যে ক্লাব দুটির মধ্যে চুক্তি নিয়ে সম্মতি হয়েছে। এখন শুধু খেলোয়াড়কে রাজি করানো বাকি, আর সেই কাজটা অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন মরিনহো।
Comments