মানুষের পাশে জাগ্রত কবি

কবি আল মাহমুদ ।

কর্তৃত্ববাদীরা ব্যক্তি ও সমষ্টির সম্ভাবনাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। জনগণকে সোচ্চার করে তোলেন কবিরা। তাঁদের সম্বোহনী লেখনী সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সমাজের শক্তি ও সামর্থ্যরে প্রতীক জনগণ। কবিদের সাধনায় তাঁরা উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠেন। পৃথিবীর প্রতিটি সংগ্রামের ইতিহাসে এই সত্যই উদ্ভাসিত। শোষণের নির্দয়তার হাতিয়ার রূপে কবিদের লেখা হয়ে দাঁড়ায় এক একটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। কবির কবিতায় এই দৃষ্টান্তই উপস্থাপিত। 

সময় ও কালকে অতিক্রম করে কবি আল মাহমুদ হয়ে ওঠেছিলেন বাংলা কবিতার সার্থক রূপকার। তাঁর লেখা জনগণের মুক্তির চেতনাকে উদ্ভাসিত করার প্রত্যয় রূপে কাজ করে। ভাষা-আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা-প্রতিটি পর্বেই যেন তিনি বাংলার মুক্তির দূত। তিনি বাঙালির সাংস্কৃতিক মুক্তির অগ্রপথিক ছিলেন। আজকের  প্রেক্ষাপটেও তাঁর কবিতার উপস্থিতি বিস্ময় সৃষ্টি করে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও তাঁর কবিতার আবেদন সর্বদা জাগ্রত। নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলা সাহিত্য যতদিন থাকবে কবি আল মাহমুদের কবিতার আবেদন ততদিনই মূর্ত হয়ে দেখা দেবে। তাই তো তাঁর সদর্ভ উচ্চারণ-'আমি মূলত কবি'।
 
বহু গুণে গুণান্বিত কবি আল মাহমুদের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ জুলাই। মৃত্যুবরণ করেন ২০১৯ সালে। ১৯৫০ এর দশকে বাংলা ভাষা আন্দোলন, জাতীয়তাবাদ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক নিপীড়ন এবং পশ্চিম পাকিস্তানি সরকার বিরোধী তাঁর লেখা বারুদের মতন দ্যুতি ছড়িয়েছে। একুশের কবিতায় তাঁর চির শাশ্বত বাণী এখনও পাঠকের কানে চিন্তার খোরাক জোগায়-' ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ/ দুপুর বেলার অক্ত/বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায়?/ বরকতের রক্ত'। দেশ-মাতৃকার ভালোবাসার দিগন্ত প্রসারিত হয়েছে কবিতার পরতে পরতে। লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো-প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ বাঙালি মানসকে জাগ্রত করে প্রতিনিয়ত। 

আল মাহমুদ নগরে বাস করেও গ্রামের মায়ার বন্ধন ভুলে যাননি। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ' লোক লোকান্তরে' গ্রামের প্রতি প্রাণের দরদ প্রকাশিত হয়েছে। এ কাব্যে গ্রামীণ জীবনের প্রতি কবির গভীর টান এবং নাগরিক জীবনের বিচ্ছিন্নতা ও অস্থিরতার বিপরীতে প্রকৃতির নির্মলতা ও শান্তির অনুসন্ধানের দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। কবি নিজেকে গ্রাম-বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম করে দেখেছেন এবং নাগরিক জীবনের কোলাহল থেকে দূরে এক শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশে ফিরে যেতে চেয়েছেন। "লোক লোকান্তর" কাব্যটি আল মাহমুদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা তাকে কবি হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়। এই কাব্যের কবিতাগুলোতে তিনি একদিকে যেমন গ্রামবাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনি অন্যদিকে নাগরিক জীবনের সংকট ও মানুষের মনস্তত্ত্বকে ধারণ করেছেন। শেষমেষ কবি ও কবিতার জয়কেই তিনি মূল উপজীব্য করেছেন তাতে-'লোক থেকে লোকান্তরে/আমি যেন স্তব্ধ হয়ে শুনি/আহত কবির গান/ কবিতার আসন্ন বিজয়'।

প্রত্যেকের কাছে মায়ের আবেদন ও উপস্থিতি সবার ওপরে। কবি নোলক কবিতায় সেই সত্যই প্রকাশ করেছেন। নোলক" কবিতার মূল বক্তব্য হল মায়ের প্রতি সন্তানের গভীর ভালোবাসা এবং ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ। কবি এই কবিতার মাধ্যমে মায়ের গহনা "নোলক" কে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে, মায়ের প্রতি গভীর মমত্ব এবং দেশের প্রতি ভালোবাসাকে ফুটিয়ে তুলেছেন সবাই যার যার ঐশ্বর্য নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা। উল্টো নোলকের কথা ভুলে যাওয়ার জন্য তারা কবিকে নানা কিছুর প্রলোভন দেখায়। কিন্তু কবির একটাই কথা, 'আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাব না।' এই কবিতায় কবি আক্ষরিক অর্থের নোলককে খোঁজেননি, খুঁজেছেন দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যকে। এককালে আমাদের দেশ তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যে পরিপূর্ণ ছিল। এ জন্য সারা বিশ্বে আমাদের আলাদা পরিচয় ও মর্যাদা ছিল। কালক্রমে সেগুলো বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দেশমাতৃকার হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধ খোঁজার এখনই উপযুক্ত সময়। 

গ্রামের সবুজ মাঠ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফেলে অনেকে আশ্রয় খোজে শহরের কোলাহল পরিবেশে। যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অভিপ্রায়ে শহরে আসা-তা অনেকেরই পূরণ হয় না। কবি এই নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরেছেন-'প্রত্যাবর্তনের লজ্জা'-কবিতায়। অসাধারণ এক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে নির্মাণ এই কবিতার প্রতিটি চরণ। বাসি বাসন হাতে আম্মা আমাকে দেখে হেসেফেলবেন/ ভালোই হলো তোর ফিরে আসা/ তুই না থাকলে ঘরবাড়ি একেবারে কেমন শূন্য হয়ে যায়/ হাত মুখ ধুয়ে আয়/ নাস্তা পাঠাই/ আর আমি মাকে জড়িয়ে ধরে আমার প্রত্যাবর্তনের লজ্জাকে তুলে ফেলবো ঘষে ঘষে'। শহর জীবনে ব্যর্থতা ও হতাশা নিয়ে গ্রামে ফিরে আসার যে মানসিক দ্বন্দ্ব, তা-ই এই কবিতার মূল উপজীব্য। 

আল মাহমুদের "বখতিয়ারের ঘোড়া" কবিতাটির মূল বক্তব্য হলো, মুসলিম বিজেতা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির বাংলা বিজয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা একটি বিখ্যাত কবিতা। এই কবিতায়, কবি বখতিয়ারের বাংলা বিজয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন, একই সাথে যুদ্ধের বিভীষিকা ও মানবিক সম্পর্কের দ্বন্দ্বও ফুটিয়ে তুলেছেন-"মাঝে মাঝে হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করে ওঠে/মনে হয় রক্তই সমাধান, বারুদই অন্তিম তৃপ্তি/ আমি তখন স্বপ্নের ভেতর জেহাদ, জেহাদ বলে জেগে উঠি'।

"কালের কলস" আল মাহমুদের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যেখানে তিনি ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং মিথ ব্যবহার করে বাংলা কবিতার ভাষাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এই কাব্যের মূল বিষয় হল, মানুষের জীবন সংগ্রাম, জীবনের পথচলা এবং এর মধ্যে আদর্শিক উন্মোচন। কবি এই কাব্যে তার নিজস্ব চিন্তা, বিশ্বাস, ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধকে কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন-'মাংসের খোডল থেকে একে একে উডে আসে আত্মার চডুই/সমস্ত ভূগোল দ্যাখো কী বিপন্ন শব্দে ভরে যায/ ভরে যায, পূর্ণ হতে থাকে'।

আল মাহমুদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সোনালী কাবিন। এই কাব্যের মূলভাব হল গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি, প্রেম, প্রকৃতি, এবং সামাজিক রীতিনীতির গভীর পর্যবেক্ষণ। এটি মূলত ১৪টি সনেটের সমন্বয়ে গঠিত, যেখানে কবি নর-নারীর প্রেম, দেহ ও প্রকৃতির সম্পর্ক এবং গ্রামীণ জীবনের সহজ-সরল দিকগুলো তুলে ধরেছেন-তুমি যদি খাও তবে আমাকেও দিয়ো সেই ফল/ জ্ঞানে ও অজ্ঞানে দোঁহে পরস্পর হব চিরচেনা/ পরাজিত নই নারী, পরাজিত হয় না কবিরা/দারুণ আহত বটে আর্ত আজ শিরা-উপশিরা'।

আল মাহমুদের  গভীরতর ভাবনা ও  সৌন্দর্যের বর্ণনা করার সাহস যিনি করবেন তিনি নিজেই চমকে উঠবেন এবং দারুণ এক আধ্যাত্মিক জাদুর ঘোরে। তার  কবিতা পাঠ করলে বুঝা যাবে কতটুকু মহার্ঘ্য চিত্রকল্পতে নারীগর্ভে মানবজন্মের বিচিত্র মননশীলতা দেখিয়েছেন। 'আমি যতবার আসি, মনে হয় একই মাতৃগর্ভে থেকে পুনওঃ/রক্তে আবর্তিত হয়ে ফিরে আসি পুরোনো মাটিতে/ওঁয়া ওঁয়া শব্দে দুঃখময় আত্মার বিলাপ/জড়সড় করে দেয় কোন দীন পিতাকে।' আল মাহমুদের কবিতা আলাদা বৈচিত্র্যের। তাঁর কবিতার জাত বিচিত্রগামী ও বিস্তৃত মেধা- মগজের খেলায় সৌরভ ছড়িয়েছেন।

রাষ্ট্র ও নির্বোধ জনগণ দ্বারা অনেক সময় বিশ্বের প্রথিতযশা কবি-সাহিত্যিকগণ পিষ্ট হয়েছেন। দার্শনিক সক্রেটিস থেকে শুরু করে কবি নাজিম হিকমত, কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমেদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমূখ। কবি আল মাহমুদও এ থেকে নিস্তার পাননি। একবার বাংলা একাডেমিতে তরুণ লেখক প্রকল্পে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে ২০-৩০জন তরুণ লেখক তোলপাড় শুরু করে দেন, আল মাহমুদকে বাংলা একাডেমিতে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তার কারণ আল মাহমুদ ধর্মান্ধ।

জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কবিকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'দেখেন আমি কোনো দিন এবং অতিতেও জামায়াত পন্থী ছিলাম না। এরা আমাকে জামায়াত বানিয়েছে। এবং যারা বানিয়েছ তারা তো দৈত্য বানিয়েছে। এখন দৈত্য তারা সামাল দিতে পারে না। জামাতী কাউকে আমি চিনতামই না। কিন্তু আমার যারা ক্ষতি করতে চেয়েছিলো তারা এটা করেছিলো। আর আপনাকে আমার বলতে কোনো দ্বিধা নাই, তারা কিন্তু নাই। আমি কিন্তু আছি। কারণ আমি তো সাহিত্য করি। আমি কবিতা লিখি, গল্প উপন্যাস লিখি, আমাকে তো গুলি করে মারা যায় না। গুলি করে মারলেও আমি সাহিত্যে থাকবো। না মারলেও থাকবো'।

কবি আল মাহমুদ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে ভালোবাসতেন। দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় তার লেখনীতে, তাঁর কর্মে। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। দেশের জন্য জেলও খেটেছেন। কিন্তু তাঁকে অযথা বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে 'সাহসের সমাচার' গ্রন্থে বলেছেন,' 'তোমরা আমাকে বোঝোনি। আমি বলি না বুঝবে না, বুঝবে। তবে তখন আমি আর থাকব না। তবে এটা মনে রেখো, বাংলা সাহিত্যে যারা কিছু করতে চাও, আমাকে তোমার পাঠ করতেই হবে। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।'

আল মাহমুদ কেবল কবিই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার গবেষক, চিন্তকও। কলকাতার লেখকদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন,-'কলকাতায় বাংলা ভাষা নেই। সেখানকার লেখকেরা ঢাকার আজিজ মার্কেটে বিক্রি হতে আসে। বাংলাদেশে তাদের বই বিক্রি না হলে এবং এখানকার পাঠকদের প্রশংসা না পেলে কলকাতার লোকেদের ঘুম হয় না। ওখানকার গল্প-উপন্যাসে প্রেম-ভালোবাসাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমাজজীবনের বহু বিচিত্র বাস্তবতা ও ভাবনার মিশেল সেখানে অনুপস্থিত। এক রবীন্দ্রনাথ নিয়েই এখনো তারা সাহিত্য-ব্যবসা করছে। মনে রাখতে হবে রবীন্দ্রনাথ উভয় বাংলার কবি। আমরা শুধু রবীন্দ্রনাথে তৃপ্ত থাকিনি। বিপুল আয়োজনে পূর্ব বাংলার সাহিত্য বিকশিত হয়েছে। ওরা আমাদের বই বাধা দিয়ে ঠেকাতে পারছে না। 

ওখানে আমাদের বইয়ের চাহিদা আছে। ওরা এসে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের বই নিয়ে যায়। ওরাই আমার কাছে এসে বলে ওদের কী করুণ অবস্থা! আমি তো কলকাতায় যাই না। যখন গিয়েছি কবির মতো সম্মান করেছে। আনন্দবাজার-এ গিয়েছি, আড্ডা দিয়েছি। একবার শক্তি চট্টোপাধ্যায় আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে প্রভুর মতো ডাক দিল, এই ভি...চা নিয়ে আয়। বাংলাদেশের একজন কবি দৌড়ে চা নিয়ে এল। আমাকে পেয়ে সারা দিন শক্তি কোনো কাজ করেনি'।

আল মাহমুদ বলেছেন, 'কবিতা বিজ্ঞান নয়। তাহলে কবিতা কী? আমার নিজের বিবেচনায় কবিতা হলো স্বপ্ন। কখনও কখনও দুঃস্বপ্নও বটে। মানুষ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে যখন অসহনীয় জীবনযন্ত্রণায় উপনীত হয় তখনই তাকে স্বপ্নের ভেতর হাটিয়ে নিয়ে চলে এক অদৃশ্য শক্তি'।

সমাজের দুঃসময়ে কবিরা জনমানুষের সারথি হন। আলবার্ট কামু মনে করেন, 'The purpose of a writer is to keep civilization from destroying itself'-একজন লেখকের উদ্দেশ্য হলো সভ্যতাকে ধ্বংস করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা'। জীবনানন্দ দাশের মতে, কবির পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অন্থির ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কালজ্ঞান'। কবি আল মাহমুদের ভাষ্যে সেই সত্যই প্রকাশিত হয়েছে- 'মানুষের প্রয়োজনে কবিতা তার পাশে দাঁড়ায়'।

আল মাহমুদ ছিলেন বাঙালি জাতিসত্তার কবি। তিনি লেখনীর মাধ্যমে সমাজ ও দেশের কথা বলতেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমি একজন কবি ছাড়া এক সুতোও ওপরে কিছু নই'। কবিতার মাধ্যমে তিনি সমাজের কথা বলতেন, দেশের কথা বলতেন। এ কারণে তাঁর লেখায় লোকজ উপাদান স্থান পেয়েছে। তাঁর কবিতা সর্বদা আধুনিক। প্রাণের সঞ্চারে ও দেহপল্লবে কবিতাগুলি উৎস হয়ে দেখা দেয়। কবিতাগুলি বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দেয়ার নিমিত্তে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। "সোনালি কাবিন" এর মতো কবিতাগুলো ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি। তাঁর ছোট গল্প, উপন্যাস ও কবিতা পাঠক হৃদয়ে সাড়া জাগিয়েছিল। তাই নতুন প্রজন্ম তাঁকে যাত বেশি জানবে তত বেশি সমৃদ্ধ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago