হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫০

নবীগঞ্জ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। 

আজ সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়।

এসময় নবীগঞ্জ শহরের মধ্যবাজার, শেরপুর রোড ও হাসপাতাল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অন্তত ১০টি দোকানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে নিহত ফারুক মিয়া (৩৫) পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আশাহিদ আলী আশার পক্ষে আনমনু, রাজাবাদ, রাজনগর, কানাইপুর, নোয়াপাড়া ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামের লোকজন পূর্ব তিমিরপুর ও চরগাঁও এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

স্থানীয়দের বরাতে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছনি আহমেদ চৌধুরী বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে পূর্ব দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার থেকে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে আসছে, সোমবার সংঘর্ষ চূড়ান্ত রূপ নেয়। এতে একজন নিহত ও অন্তত দেড়শ জন আহত হয়েছেন, কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকেল ৪টার দিকে ইউএনও মো. রুহুল আমিনের সই করা এক আদেশে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

পরে সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুরো বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।'

ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, 'এলাকার পরিস্থিতি যেন আর অবনতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

5h ago