এবার আরও ভালো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার দাবি মেয়েদের

ভালো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে পারলে যে ভালো ফলাফল আসে তার প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব খেলতে যাওয়ার আগে জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ভালো খেলাটা খুব কার্যকরী ছিল বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার।

বাছাই পর্বের আগে ইন্দোনেশিয়া ও জর্ডানের বিপক্ষে খেলা দুটি প্রীতি ম্যাচেই ড্র করে বাংলাদেশ নারী দল। যেখানে দুটি দলই র‍্যাঙ্কিংয়ে বেশ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে। জর্ডান তো এগিয়ে ছিল ৫৩ ধাপ। র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দুটি দলের বিপক্ষে ভালো খেলার আত্মবিশ্বাসই কাজে দিয়েছে বাছাই পর্বে।

মায়ানমার থেকে ফিরে বাফুফে ভবনে আফঈদা বললেন, 'আত্মবিশ্বাসটা আসছে জর্ডানের বিপক্ষে যখন আমরা ড্র করি। জর্ডানের সঙ্গে আমরা ২-২ গোলে ড্র করি। ওরা একটা গোল দেয় এরপর আবার আমরা শোধ করি। শেষ দিকে ওরা গোল দিলে আমরা সেটাও শোধ করি। এখান থেকেই মূলত আমাদের আত্মবিশ্বাস আসে যে আমরাও পারবো।'

'বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচেও আমাদের কিছুটা ভয় ছিল। ওরাও আমাদের চেয়ে র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। এরপর ওদের সঙ্গে যখন বড় ব্যবধানে জিতি তখন আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে যায়,' যোগ করেন অধিনায়ক।

অস্ট্রেলিয়ায় আগামী বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের মূল পর্ব। সেই আসরে যাওয়ার আগে তাই ভালো দলের বিপক্ষে খেলার দাবি জানালেন অধিনায়ক, 'আমাদের আরও ভালো করতে হলে আমাদের ওই মানের দলের সঙ্গে খেলতে হবে। এই ম্যাচের আগে যেমন আমরা জর্ডান-ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলেছি। এখন জর্ডান-ইন্দোনেশিয়ার চাইতেও ভালো দলের বিপক্ষে আমাদের খেলতে হবে।'

শুধু ভালো প্রতিপক্ষ নয়, আফঈদা দাবি জানালেন ভালো সুযোগ সুবিধারও, 'আমাদের আরও ভালো ফ্যাসিলিটি দরকার। যেমন মাঠের ফ্যাসিলিটি, আমাদের খাওয়া দাওয়া, তারপর জিমের ইকুইপমেন্ট আরও ভালো হোক এগুলোই আমাদের চাওয়া পাওয়া।'

এশিয়ান কাপ বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য আরও বড় উপলক্ষও তৈরি করতে পারে। সেরা ছয়টি স্থানের মধ্যে থাকতে পারলে সরাসরি ২০২৭ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে জায়গা মিলবে তাদের। আর সেরা আট দলে থাকলে নিশ্চিত হবে ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে খেলা।

তবে শুরুতেই অনেক বড় ভাবনা না ভেবে ধীরে ধীরে এগোতে চান আফঈদা, 'এখনও তো আরও ছয়মাস বাকি আছে। আমরা চেষ্টা করবো সেখানে যেয়ে যেন আমরা প্রথমে অলিম্পিক কোয়ালিফাই করতে পারি। আমাদের প্রথম টার্গেট থাকবে সেইটা। এরপর বিশ্বকাপের চিন্তা।'

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

11h ago