রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিতে রিয়াল

২১ বছর বয়সী গঞ্জালো গার্সিয়ার ঝলক আর বদলি নামা কিলিয়ান এমবাপের চমকপ্রদ বাইসাইকেল কিকে বুরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩–২ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিউইয়র্কের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৭৬,৬১১ দর্শকের সামনে এই ম্যাচটি ছিল দারুণ গোল, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে ঠাসা।
ম্যাচের প্রধান ঘটনাসমূহ:
- ১০ মিনিটে: আরদা গুলের পাস থেকে কাছাকাছি দূরত্বে বল পেয়ে রিয়ালের হয়ে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন তরুণ ফরোয়ার্ড গঞ্জালো গার্সিয়া — টুর্নামেন্টে এটি তার ৪র্থ গোল।
- ২০ মিনিটে: সাবলীল আক্রমণ সাজিয়ে দুই ফুলব্যাকের যুগলবন্দিতে ফ্রান গার্সিয়া রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি করেন। ডানদিক থেকে এই আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন জুড বেলিংহাম।
- ৬১ মিনিট: আরেলিয়ান চুয়ামেনির একটি জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসে (যদিও পরে অফসাইড ধরা হয়)।
- ৯৩ মিনিটে: ম্যাক্সিমিলিয়ান বেইয়ার রিয়ালের ডিফেন্সের একটি দুর্বল ক্লিয়ারেন্স দখলে নিয়ে গোল করে ব্যবধান ২–১ করেন।
- ৯৫ মিনিটে: বদলি নামা এমবাপে করেন একটি দুর্দান্ত ওভারহেড গোল। এটি ছিল চলতি মৌসুমে ক্লাব ক্যারিয়ারে তার ৪৪তম গোল।
- ৯৭ মিনিটে: রিয়ালের ডিন হুইসেন প্রতিপক্ষকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন, যার ফলে গিরাসি পেনাল্টি থেকে ডর্টমুন্ডের দ্বিতীয় গোল করেন (৩৮তম গোল এই মৌসুমে তার)। তবে এরপর আর তাদের সমতায় ফেরার সময় ছিলো না।
কৌশল ও কোচিং:
রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো শুরুতেই ৩ জনের রক্ষণভাগ বাদ দিয়ে ৪ ডিফেন্ডারের কৌশলে চমকে দেন সবাইকে। প্রথম ৮০ মিনিট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখে রিয়াল, যদিও শেষ ১০ মিনিট কিছুটা "পাগলাটে" হয়ে যায় বলে নিজেই স্বীকার করেন আলোনসো: 'প্রথম ৮০ মিনিট আমাদের পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে শেষ ১০ মিনিট আমাদের রক্ষণ ছন্দ হারায়। সামনে এই বিষয়টা আরও উন্নয়ন করতে হবে।'
শেষে যা বললেন কোচরা:
- জাবি আলোনসো (রিয়াল কোচ): 'এখন পিএসজির সঙ্গে লড়াই হবে—এটা নিঃসন্দেহে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ম্যাচ।''
- নিকো কোভাচ (ডর্টমুন্ড কোচ): 'এই ম্যাচে আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি। রিয়ালের মতো দলের কাছে হেরে গেলে সেটা ব্যর্থতা নয়।'____
সেমিফাইনালে কী অপেক্ষা করছে?
তারিখ: আগামী বুধবার
ভেন্যু: মেটলাইফ স্টেডিয়াম, নিউ জার্সি
লড়াই: রিয়াল মাদ্রিদ বনাম পিএসজি
জয়ী দলই হবে এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় ফেভারিট
Comments