এনবিসির প্রতিবেদন

ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের মজুত ফুরিয়ে এসেছে

ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ায় আকাশ হামলা সুরক্ষা অস্ত্রের প্রদর্শনী। ফাইল ছবি: এএফপি
ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ায় আকাশ হামলা সুরক্ষা অস্ত্রের প্রদর্শনী। ফাইল ছবি: এএফপি

ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রের মজুদ 'ফুরিয়ে আসছে'।

তিন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এনবিসি নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি দুই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, বিশেষত, গোলাবারুদের মজুত অনেকটাই কমে এসেছে।

ইসরায়েল সরকার মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো জবাব দেননি। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। 

এমন সময় এই তথ্য জানা গেছে, যখন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের চাপেই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন নেতানিয়াহু।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-অভিযানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জেমস কিলবি সিনেটের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, ইসরায়েলকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন নৌবাহিনীর কাছে আছে। তবে নৌবাহিনীর মজুত থেকে 'আশঙ্কাজনক হারে' ক্ষেপণাস্ত্র কমে আসছে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলকে বেশ কয়েকবার ইরানের হামলা থেকে সুরক্ষা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে লাখো কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে ইসরায়েল। এমন কী, ইরান থেকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েছে—এমন অভিযোগও এসেছে।  

১৩ জুন ইরানের বিরুদ্ধে 'বিনা উসকানিতে' আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সয়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। যার ফলে, সংঘাত রূপান্তরিত হয় যুদ্ধে। ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে 'ভঙ্গুর' এই যুদ্ধবিরতি ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কার্যকর আছে, যা একটি ইতিবাচক বিষয়।

Comments

The Daily Star  | English

Drug smuggling via air, land routes on the rise

This grim picture emerges as Bangladesh, like other countries around the world, observes the International Day Against Drug Abuse and Illicit Trafficking today.

12h ago