পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কো যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভ্লাদিমির পুতিন ও আব্বাস আরাকচি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি আগামীকাল সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

আজ রোববার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সংবাদ সম্মেলনে আরাকচি এ কথা জানিয়েছেন।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর পুতিন-আরাকচি বৈঠকের খবর এলো।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আজ বিকেলে মস্কো যাচ্ছি। আগামীকাল সকালে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করব।'

আজ ভোরে যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিয়ে ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলোয় আকস্মিক হামলা চালায়। ওয়াশিংটনের এই জড়িয়ে পড়া মধ্যপ্রাচ্যে 'নতুন বাস্তবতা'র জন্ম দিয়েছে।

ইরানের 'শান্তিপূর্ণ' পরমাণু কর্মসূচি চালানোর অধিকার আছে এবং রাশিয়া ইরানকে সেই কর্মসূচির উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে সম্প্রতি পুতিন জানিয়েছেন।

ইরান হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, 'এখনো অনেক জায়গায় হামলা বাকি। আজকের রাতটি এখন পর্যন্ত তাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন। সম্ভবত সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। দ্রুত শান্তি না এলে নিখুঁতভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে অন্য লক্ষ্যগুলোয় হামলা চালাবো।'

মার্কিন বাহিনী ইরানের তিন প্রধান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। সেগুলো হলো: নাতাঞ্জ, ইস্পাহান ও ফোরদো। ফক্স নিউজকে ট্রাম্প জানান, ফোরদোতে ছয়টি 'বাঙ্কার-বাস্টার' বোমা ফেলা হয়েছে। অন্যান্য স্থাপনায় নিক্ষেপ করা হয়েছে ৩০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র।

হামলার পর ইরান বলেছে, শত্রুদের বিদ্বেষপূর্ণ পরিকল্পনা সত্ত্বেও বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা তাদের পরমাণু শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে মিলিত হয়ে যুদ্ধে জড়ানোর মাধ্যমে সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক পথ 'নষ্ট' হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ইস্তাম্বুলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল "বড় রেড লাইন" অতিক্রম করল।'

'এমন কোনো "রেড লাইন" নেই যা তারা অতিক্রম করেনি। শেষটি এবং সবচেয়ে বিপজ্জনকটি গত রাতেই ঘটেছে' বলে মন্তব্য করেন আরাকচি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

3h ago